Blood Donation Camp : ব্লাড ব্যাঙ্কে আকাল, জামাইষষ্ঠীতে ‘উৎসর্গ’-র উদ্যোগে রক্তদান শিবির দুর্গাপুরে – a blood donation camp was organised in durgapur by asansol durgapur police commissionerate


Paschim Bardhaman : রাজ্যের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে এই তীব্র দাবদাহের সময়ে রক্তের সমস্যা তুঙ্গে। জায়গায় জায়গায় বলতে গেলে শুরু হয়েছে রক্তের জন্য হাহাকার। রক্তের ঘাটতি মেটাতে এই কাজে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এবার এগিয়ে এল পুলিশও। জামাইষষ্ঠীর মতো উৎসবের দিনে জনগণের সামাজিক দায়বদ্ধতার লক্ষ্যে রক্তদান শিবিরের মত মহৎ উদ্যোগ নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। আসানসোল – দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ‘উৎসর্গ’ নামক এই কর্মসূচি থানা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।

Barasat Hospital : এক রোগীর রক্ত অন্যকে! গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ বারাসত হাসপাতালে
রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল – দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে ও দুর্গাপুর মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় ও একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ বিশিষ্টজনেরা। এদিন ওই শিবির এলাকায় প্রায় ৬০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। রক্ত সংগ্রহ করেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীরা।

Bengal BJP : নবজোয়ার কর্মসূচিতে দুর্গাপুরে অভিষেক, ঝাঁটা-গঙ্গাজলে শহর ‘শুদ্ধিকরণের’ কর্মসূচি BJP-র
এসিপি তথাগত পাণ্ডে এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “গ্রীষ্মকালে রক্তের সঙ্কট দেখা যায়। সাধারণ মানুষ শীতকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে এগিয়ে আসলেও এই সময় খুব একটা কেউ আসেন না। এছাড়াও কোনও সংস্থা রক্তদান শিবির করানোতে আগ্রহীও থাকে না। বহু রোগীর পরিবারের লোকজন রক্তের খোঁজে আমাদের কাছেও আসেন।

West Bengal BJP : বিজেপির শিক্ষা সেলের অভিযানে রণক্ষেত্র করুণাময়ী, ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের
আমাদের পুলিশ কমিশনার সেই মতো আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এই কর্মসূচি করার জন্য। ছোট কর্মসূচি হলেও এর মাধ্যমে আমরা সমাজে বার্তা দিতে পারব রক্তদান সম্পর্কে, এই আশা রাখি”। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রক্ত সংকট কাটাতে পুলিশের এই ধরনের মানবিক কাজ এই প্রথম নয়। কয়েকমাস আগেই রানাঘাট পুলিশ জেলার উদ্যোগে শান্তিপুর থানায় এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন।

Kurmi Protest Against Abhishek : পুরুলিয়ায় কুড়মি কাঁটা অব্যাহত, অভিষেক দেখা না করায় বাড়ল বিপত্তি
এই রক্তদান শিবিরে মোট ৫০ জন পুলিশ কর্মী ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। মুমূর্ষ রোগীকে বাঁচাতে অর্থের মতোই প্রয়োজন হয় অমূল্য সম্পদ রক্তের। চিকিৎসকরা বলেন একজন সুস্থ সাধারণ মানুষের একই গ্রুপের রক্ত একজন মুমূর্ষ রোগীকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট।

বেশিরভাগ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্ক থাকলেও সেই ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে অনেক সময় দেখা যায় রক্তের সংকট। যদিও এই রক্ত সংকট দূর করতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তাতেও সব সময় রক্তের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণেই বারবার এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করে সমাজে বার্তা ছড়াতে চাইছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *