বাকিরা হল সুব্রত সরকার, অনুপম বিশ্বাস ও বিধান মুন্ডা। এদের বাড়ি গোপালনগর থানা এলাকাতেই। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে গোপালনগর থানার পুলিশ। বিচারক ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জেরা করে চুরি হয়ে যাওয়া পাইপের মধ্যে ২৭ টি পাইপ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে একটি স্করপিও এবং একটি লরিও আটক করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া লরি, স্করপিও এবং জলের পাইপ বাজেয়াপ্ত করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা অভিনব কায়দায় এই জলের পাইপগুলো চুরি করত।
সাধারণত তারা রাতের বেলাতেই এই চুরির কারবার করত। সাধারণ মানুষের যাতে সন্দেহ না হয় সে কারণে সরকারের ঠিকাকর্মী সেজেই তারা এই চুরির কারবার করত। এই বিষয়ে এদিন বনগাঁ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, “সাম্প্রতিক সময়ে গোপালনগর থানা এলাকার কামদেবপুরে জল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন প্রায় ৮০ টিরও বেশি জলের পাইপ চুরি হয়ে যায়।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে গোপালনগর থানার পুলিশ গোপালনগর ১৬ নং রেলগেট এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ টি জলের পাইপ সহ একটি লরি এবং একটি স্করপিও উদ্ধার করে”। তিনি আরও বলেন, “বাকি অনেকগুলি জলের পাইপ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা জানার চেষ্টা চলছে সেগুলি কোথায় রয়েছে। আর যদি সেগুলি বিক্রি হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে কিভাবে উদ্ধার করা হবে, সেই বিষয়েও চিন্তা ভাবনা চলছে”।