পরে পুলিশ গিয়ে ওই মাঠ থেকে এক ব্যাগ ভর্তি প্রায় ১৪ টি বোমা উদ্ধার করে। এরপরেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। গত ১৩ মে এই বাঁশঝোর গ্রামেই ক্যানালের পাড় থেকে ৩টি প্লাস্টিকের জার ভর্তি বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “এটা গ্রাম নাকি বোমা রাখার কারখানা কিছুই বুঝতে পারছি না। ১৮ দিনের মধ্যে আবার গ্রামে পুলিশ এল, বোমা উদ্ধার করে নিয়ে গেল। আর যত এসব হচ্ছে ততই আতঙ্ক বাড়ছে। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা রয়েছে। এসব বোমা যদি ফাটে তাহলে যে কি হবে সেসব ভেবেই শিউরে উঠছি”।
চলতি মাসে, বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২৮শে মে তে বীরভূমের চার জায়গা থেকে উদ্ধার প্রায় আড়াইশো বোমা। এদিন সকালেই মল্লারপুর থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৬০-৭০টি বোমা। মল্লারপুরের ফুলুর অঞ্চলের চাঁদপুর গ্রাম থেকে ব্যাগ ও দুটি প্লাস্টিকের বালতি বোঝাই বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
আর এসব দেখেই কার্যত ঘুম উড়ে গিয়েছে জেলার বাসিন্দাদের। গ্রাম থেকে শহর, কোনও এলাকার বাসিন্দাই থাকতে পারছেন না নিশ্চিন্তে। যদিও রাজ্য প্রশাসনের দাবি, এসব বোমাই আসছে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যকে অশান্ত করতে।
যদিও সীমান্তে পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে এগুলি কিভাবে ঢুকছে রাজ্যে, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারংবার বোমা উদ্ধারে উঠছে প্রশ্ন। চারদিকে এখন একটাই প্রশ্ন, নির্বাচন কি আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে? ঠিক একইভাবে উত্তর নেই এই প্রশ্নেরও।