এদিন বিকালে বাগনান লাইব্রেরি মোড় থেকে মিছিল শুরু করেন অভিষেক। রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায়, হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বিধায়ক অরুনাভ সেন, জেলার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক সমীর পাঁজা শীর্ষনেতাকে বরণ করে নেন। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মন্ত্রী বিধায়করা প্রায় দু কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাগনান খালোড় কালীবাড়িতে যান।
খালোড় কালীবাড়িতে পুজো দেন অভিষেক। পুজো দেওযার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সেই কারণে শুক্রবার দলের সমস্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু বাগনান এলাকায় প্রচুর মানুষ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে সেই কারণে মানবিকতার খাতিরে তাদের জন্য পায়ে হেঁটেছেন।
অভিষেক আরও বলেন, ‘সমস্ত কর্মসূচি বাতিল থাকলেও যেহেতু শ্যামপুরের জনসভায় অনেক মানুষ এসে উপস্থিত হয়েছেন সেই কারণে তিনি সেখানে যাবেন এক মিনিট নীরবতা পালন করবেন তারপর তিনি পাঁচলায় চলে যাবেন।’ রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে অভিষেক বলেন, ‘গত দু দশকে এইরকম মর্মান্তিক ঘটনা আমরা দেখিনি। শুক্রবার দুর্ঘটনা ঘটার ঘন্টা দেড়েক পর আমি খবর পাই। এখন রাজনীতি না করে সবার উচিত যারা আহত তাদের সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করা এবং যারা নিহত তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। এটা আমাদের প্রধান কর্তব্য এবং দায়িত্ব।’
এতগুলো লোকের প্রাণহানির দায়িত্ব কে নেবে, এই নিয়ে প্রশ্ন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ‘রেল যাত্রা সব থেকে নিরাপদ বলে মানুষ ভাবে অথচ আজ সে নিরাপদ যাত্রাই এতগুলো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল। যদি দুঘণ্টার পর এই দুর্ঘটনা ঘটতো তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার পেরিয়ে যেত। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকার্যের জন্যও কোনও লোক ছিল না।’ রেলের তরফে কোন নির্দেশিকা কাউকে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।