সিআরপিএফ জওয়ান নিখিল ধারা চাকরির জায়গায় পৌঁছানোর জন্য শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যাতেই বীভৎস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল । একইসঙ্গে আহত হাজার হাজার মানুষ। ওডিশার বালেশ্বর ছাড়াও সংলগ্ন জেলা ও সীমা ঘেঁষা রাজ্যের হাসপাতালেও আহতদের ভিড়ে একপ্রকার বেড অমিল। দীর্ঘ তালিকা নিখোঁজেরও । আর সেই নিখোঁজ তালিকাতেই আছেন সিআরপিএফ জওয়ান নিখিল ধারার নাম এমনটাই মনে করছেন গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা ।
জানা গিয়েছে , নিখিল ধাড়ার বাড়ি বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামে । বাবা পাগল ধারা। গ্ৰামের এক বাসিন্দা বলেন , ইন্দাস পুলিশ প্রশাসনের কথামতো বালেশ্বরে পৌঁছায় গ্রামের একটি প্রতিনিধি দল কিন্তু সমস্ত হসপিটাল ঘুরেও নিখিল ধাড়ার এখনও পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি । নিখোঁজ নিখিল ধাড়ার সন্ধানে গ্রামের প্রতিনিধি দল এবং প্রশাসনের তরফে খোঁজ চলছে । উদ্বিগ্ন পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা । যদিও বালেশ্বরে আছেন প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের প্রতিনিধি দল । এখনো মরিয়া ভাবে চেষ্টা জারি আছে নিখোঁজ নিখিল ধাড়াকে খুঁজে বের করার জন্য ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটে শতাব্দীর সবথেকে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওডিশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজারের কাছে লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িকে ১২৮ কিমি গতি বেগে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরে খেলনা গাড়ির মতো ট্র্যাক থেকে ছিটকে পড়ে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডলের সব কটি বগি। সেই দুর্ঘটনায় বেলাইন হয়ে যায় যশবন্তপুর-হাওড়ার চারটি বগি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭৫।