Saigal Hossain : প্রাথমিকের চাকরিতে এত গয়না সেহগলের স্ত্রীর! বিস্মিত বিচারক – asansol special cbi court judge rajesh chakraborty surprised to hear value of saigal hossain seized jewellery


এই সময়, আসানসোল: সেহগল হোসেনের থেকে বাজেয়াপ্ত গয়নার মূল্য শুনে বিস্মিত আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। বুধবার আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগলের বাজেয়াপ্ত গয়নার মূল্য ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকা। ওই গয়না ফেরত পেতে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন সেহগল।

এদিন আসানসোল সিবিআই আদালতে মামলার শুনানিতে সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য বিচারককে জানান, গোরুপাচার মামলার তদন্ত শুরুর আগে কেনা তিনটি গয়না ফেরত দেওয়া হবে। তার মধ্যে ৭০ হাজার টাকার সোনা ও ১৭ হাজার টাকা মূল্যের রুপোর গয়না রয়েছে। বাকি গয়নার রসিদ হয় পাওয়া যায়নি, নতুবা সেগুলির অধিকাংশ ভুয়ো বলে দাবি সিবিআইয়ের।

Anubrata Mondal: অন্য এজলাসে হোক শুনানি, জামিন মামলার বিচারপতি বদলের আবেদন কেষ্টর
এদিন সেহগলের হয়ে আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জানান, তাঁর মক্কেলের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা। তিনি তাঁর বেতনের টাকায় গয়না কিনেছেন। তখন তদন্তকারী অফিসার বিচারককে জানান, সেহগলের স্ত্রী প্রাথমিকে শিক্ষিকার চাকরি পান ২০১৪ সালে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকের টেট দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন সেহগলের স্ত্রী। এই তথ্যে বিচারক বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, মাত্র ৬ বছরের চাকরিতে এত টাকার গয়না কেনা সম্ভব?

গোরুপাচার মামলায় প্রথমে সিবিআই ও পরে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া কেষ্ট ও সেহগল এখন রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। এবার এই দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার প্রস্তুতিও শুরু করেছে সিবিআই। তবে এই জেরার জন্য অনুমতি চেয়ে সিবিআইয়ের তরফে এদিন কোনও আবেদন বিশেষ আদালতে করা হয়নি।

Kalighater Kaku Arrest : চ্যাট মুছেও প্যাঁচে ‘কালীঘাটের কাকু’, মানিকের সঙ্গে নিয়মিত কথা হোয়াটসঅ্যাপে
এদিন আদালতে সিবিআইয়ের তরফে অনুব্রত ও সেহগল সম্পর্কে বেশ কিছু নথি দেওয়া হলে বিচারক জানতে চান, এগুলি নিয়ে কি দু’জনকে জেরা করা হয়েছে? সিবিআইয়ের আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসার জানান, আলাদা করে জেরা করা হয়েছে। এখনও একসঙ্গে করা হয়নি। এবার করা হবে।

এদিন তিহার জেল থেকে সেহগলের সঙ্গে ভার্চুয়াল শুনানি হয় অনুব্রতরও। শুনানির সময়ে বিচারকের কাছে অনুব্রত বলেন, “আমার শরীর খুব খারাপ। ডিসব্যালেন্সড হয়ে যাচ্ছি। সারা শরীরে ব্যথা। যন্ত্রণা আছে। আমাকে জামিন দেওয়া হোক।” বিচারক জানান, দিল্লি হাইকোর্ট অনুব্রতর জামিন খারিজ করেছে। তাই তিনি এই জামিন দিতে পারেন না। তিহার জেলে অনুব্রতর চিকিৎসা নিয়ে জানতে চান বিচারক।

Sukanya Mondal News : বিফলে অনুব্রতর প্রার্থনা! সুকন্যার জামিনের আবেদন খারিজ, থাকতে হবে তিহাড়েই
অনুব্রত বলেন, “চিকিৎসা হলেও আমার শরীরের ব্যথা কমছে না।” জেল হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে শরীরের অবস্থা জানানোর পরামর্শ দেন বিচারক। আগামী ৩০ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *