যদিও এই দৃশ্য আশাপাশে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়। গরমের হাত থেকে নিস্তার পেতে জলাশয়, নর্দমা, পুকুর, খাল, বিলে দেশি সারমেয়দের হামেশাই গোটা দেহ ডুবিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। তবে সাধারণত বিদেশি প্রজাতির দেশি সারমেয়দের এইভাবে দেখা যায় না।
হাঁসফাঁস করা গরমে অতিষ্ট মানুষজন। তার মাঝেই এক সারমেয়র কীর্তি রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গরমে হাঁসফাঁস করা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে যখন গ্রামবাংলা নানা প্রান্তে পুকুর জলাশয় গুলিতে মানুষের স্নান করার হিড়িক, তখন সাময়িক স্বস্তি পেতে মাস দশেকের টোডি সুযোগ পেলেই নেমে পড়ে পুকুরে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জলকেলি। পুকুরে স্নান করতে নামা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে উপভোগ করে বিশেষ সময়।
অশোকনগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হঠাৎ কলোনি এলাকায় বাসিন্দাদের কাছে এই ছবি এখন আর অচেনা নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাস পরিবারে ১০ মাস আগে নিয়ে আসা হয়েছিল রটউইলার প্রজাতির এই পোষ্যটিকে। সাধ করে পোষ্যটির নাম রাখা হয় টোডি। ছোটো থেকেই এলাকার সকল মানুষের প্রিয় সে। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলাধুলা থেকে শুরু করে, খুনসুটি সবেতেই এগিয়ে পাড়ার এই অন্যতম সদস্য।
তবে গরমের কারণে বেশ কয়েক দিন ধরেই এলাকাবাসীদের সঙ্গে অতিষ্ঠ। তাই এলাকার কচিকাঁচাদের পুকুরে নামতে দেখলেই শুরু হয় টোডির চিৎকার। যেনতেনও প্রকারে সে তখন ওই বাচ্চাদের সঙ্গেই নামবে পুকুরে, খেলবে তাদের সঙ্গে। পুকুর থেকে টোডিকে তুলে আনতে হিমসিম খেতে হয় তাঁর বাবাকেও।
শুক্রবার সকালেও ধরা পড়ল একই দৃশ্য। কোনওরকমে শিকল খুললেই ছুটে আসে টোডি। ঝাঁপ দিয়ে নেমে যায় স্থানীয় অশোকেশ্বরী কালী মন্দিরের পুকুরে। আর তার সেই স্নান দেখতে পুকুর পাড়ে জমে কচিকাঁচা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। জলে নেমে এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত সাঁতার কেটে জল ছিটিয়ে আনন্দ করতে দেখা যায় পোষ্য রটউইলারটিকে। পুকুরে স্নান এখন টোডির রোজকার রুটিন।