Alipurduar News : ৫ ঘন্টা স্বামীর মৃতদেহ নিয়ে স্টেশনে বসে স্ত্রী, ময়নাতদন্তের নামে রেল পুলিশের গড়িমসি – wife sat at the station with her husband dead body for 5 hours in alipurduar


এই সময়, আলিপুরদুয়ার: ট্রেনের কামরায় মৃত্যু হওয়ায় তদন্তের জন্য স্বামীকে নিয়ে পাঁচ ঘণ্টা ফালাকাটা স্টেশনে ঠাঁই বসে থাকতে হলো বধূকে। একে স্বামীর মৃত্যুযন্ত্রণা, তার উপরে রেল পুলিশের তদন্তের নামে গড়িমসিতে দেহ নিয়ে শনিবার নিজের বাড়িতেই ফিরতে পারলেন না তিনি। দিন সাতেক আগে বাড়ির গোরু বিক্রি করে পেশায় দিনমজুর স্বামী দুলাল বর্মন (৬০)কে নিয়ে কলকাতার পিজি হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের পাতলাখাওয়ার বাসিন্দা রতিবালা বর্মন।

Alipurduar News : মাকে হত্যা করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ, গ্রেফতার ছেলে
শনিবার শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় চেপে স্বামী ও ১৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে ফালাকাটায় ফিরছিলেন। রবিবার সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ ফালাকাটা স্টেশনে নামার আগে লক্ষ্য করেন স্বামীর গোটা দেহ অসাড় হয়ে গিয়েছে। কখন যে তাঁর স্বামী ঘুমের ঘোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে, টের পাননি তিনি। সকাল ন’টা নাগাদ ফালাকাটা স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই সাহায্য চান রেলকর্মীদের।

Kaushambi Sealdah Express Fire : করমণ্ডল আতঙ্কের মাঝে শিয়ালদামুখী ট্রেনে আগুন, আতঙ্কে ঝাঁপ যাত্রীদের
আরপিএফ কর্মীরা কামরা থেকে প্রৌঢ়ের দেহ নামিয়ে প্ল্যাটফর্মের যাত্রীদের বসার বেঞ্চে শুইয়ে দেন। এরপরেই শুরু হয় দুর্ভোগের পালা। সত্যিই কি হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে? নাকি অন্য কোনও কারণে, তাই নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। একে শোক, তার উপর সারারাতের জার্নি, অসহায় অবস্থায় মৃত স্বামীর পাশে বসে চোখের জল ফেলতে থাকেন রতিবালা।

Odisha Train Accident News: ‘ভয়ানক মহিলা…’, ওডিশার ট্রেন দুর্ঘটনার আর্থিক সাহায্য পেতে জ্যান্ত স্বামীকে ‘খুন’ স্ত্রীর!
আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রেল হাসপাতাল আলিপুরদুয়ার জংশনে। সেখান থেকে ফালাকাটা স্টেশনের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। আবার জিআরপি থানা হচ্ছে নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশনে। সেখান থেকে ফালাকাটা স্টেশনের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। আরপিএফ সাব ইনস্পেক্টর কৃষ্ণচন্দ্র রায় বলেন, ‘ফালাকাটা স্টেশনে কোনও জিআরপি থানা নেই। নিউ ময়নাগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার রেল হাসপাতালে খবর পাঠানোর পরে ওসি জিআরপি ও চিকিৎসকের পৌঁছতে অনেক দেরি হয়ে যায়।’

Bahanaga Bazar Station : বিভীষিকার সাক্ষী বাহানাগা বাজার! আর কোনও ট্রেন থামবে না অভিশপ্ত স্টেশনে
নিউ ময়নাগুড়ির জিআরপির ওসি হর বাহাদুর শেরপা বলেন, ‘ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুসারে যাত্রারত অবস্থায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহ ময়না তদন্ত ছাড়া আমরা পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারি না। তবে মৃতদেহটি ফালাকাটা থেকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিলম্বের কারণে আজ ময়না তদন্ত করে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি।’ রতিবালা বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত স্টেশনে পড়েছিলাম। আমি তো নিজে মেরে ফেলিনি। সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও আমার প্রতি করুণা করা হলো না। দিনভর ভোগান্তির শিকার হলাম।’ ডিআরএম দিলীপকুমার সিং বলেন, ‘রেলের দুই প্রান্তের দুই বিভাগের মধ্যে সমন্বয় ও কাগজপত্রের জটিলতা কাটাতে সময় চলে যায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *