যেমন অভিরামপুরের ১৭ নং পঞ্চায়েত সমিতির আসন। এই আসনে কোনও বহিরাগত প্রার্থীকে মেনে নেওয়া হবে না, এই মর্মে এলাকায় ব্যানার টাঙিয়েছে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ কর্মী সমর্থক। এমনকি এলাকা থেকে পছন্দের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে তুলসীবেড়িয়ার ১৮৮ পার্টে ১৯ ও ২০ নম্বর বুথেও তাদের পছন্দের প্রার্থীকে টিকিট দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। এখানেও পছন্দের প্রার্থীকে টিকিট দেওয়া না হলে এখানেও ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়ে এলাকায় ব্যানার টাঙিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা।
অন্যদিকে প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ সম্পর্কে বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি জানান, “দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত হওয়ার কারণে এক একটা জায়গা থেকে ৫০ জন করে প্রার্থী হতে চাইছেন”। তবে দল যাকে টিকিট দেবে তাকেই প্রার্থী হিসাবে সকলকে মেনে নিতে হবে বলে জানান নির্মল মাজি।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দলে প্রচুর লাইন প্রার্থী হওয়ার জন্য। তাঁদের মধ্যে থেকেই দলের উচ্চ নেতৃত্ব যাকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবে, সব কর্মী সমর্থকদের তাঁকেই মেনে নিতে হবে। নাহলে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও ধরনের দলবিরোধী কাজকর্ম মানা হবে না”।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের জায়গায় জায়গায় দেখা দিচ্ছে শাসকদলের মধ্যে অসন্তোষ। কোথাও প্রার্থী নিয়ে দেখা দিচ্ছে ক্ষোভ, আবার কোথাও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর হাওড়া জেলায়, বিশেষ করে উলুবেড়িয়াতে এই সমস্যা আরও বড় আকার ধারন করেছে।
জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে চিন্তিতও বলে জানা গিয়েছে। এবার বিধায়কের কড়া বার্তা শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কিরকম ছাপ ফেলে, সেটা দেখার অপেক্ষাতেই সকলে।