ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। ঘটনায় শক্তিগড় থানার ওসি সহ আরও দুজন পুলিশ কর্মী জখম হন বলে জানা যায়। ইট বৃষ্টির কারণে অনেকেই আহত হন বলে জানা গিয়েছে। কয়েকজন সিপিএম কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
স্থানীয় এক সিপিএম কর্মী বলেন, “আমদেরকে ওরা নমিনেশন জমা দিতে দিচ্ছে না। আমাদেরকে আটকানো হয়। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। ইটবৃষ্টি করে আমাদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা নমিনেশন জমা না দিয়ে কিছুতেই যাব না।” গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের নমিনেশন জমা দেওয়ার নিয়ে একের পর এক জেলায় অশান্তির খবর উঠে আসছে। এর আগে মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নমিনেশন জমা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল মারপিট, অশান্তি, লাঠালাঠি শুরু হয়। নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হয়।
রবিবার মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় বিরতি ছিল। এরপর সোমবার সকাল থেকে ফের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেও ফের অশান্তির বাতাবরণ লক্ষ্য করা যায়। বর্ধমান জেলার দুই ব্লকের বড়শুলে এদিন সকাল থেকে একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সিপিএম কর্মীরা লাইন দিয়ে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করার পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি।
অভিযোগ, তৃণমূলের কিছু কর্মী, সমর্থকদের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপর তুমুল অশান্তি লেগে যায় দুই পক্ষের মধ্যে। মুহুর্তের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ব্লক অফিস চত্বর। পুলিশের সামনেই ইট বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়। পরে আরও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হয় ঘটনাস্থলে।