রেল পরিষেবা বিহীন জঙ্গল মহলের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের এখনও যোগাযোগের অন্যতম ভরসা বেসরকারি বাস। আর সেই বাস বন্ধ থাকায় তাঁদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এদিনের এই বনধে শুধু যাত্রী সাধারণ নয়, চরম সমস্যায় পড়েছেন বেসরকারি বাস কর্মীরাও। প্রতি মাসে এইভাবে একাধিকবার বনধ হলে ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ নিয়মে কাজ করা ওই কর্মীরা চরম আর্থিক সমস্যায় পড়বেন।
ফলে সাধারণ মানুষ ও বাস শ্রমিকদের স্বার্থে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তারা জানাচ্ছেন। বাঁকুড়ার এক বাস শ্রমিক শেখ শুকুর আলি বলেন, “বাঁকুড়া তথা জঙ্গলমহলে প্রত্যেক মাসেই কোনও না কোনও সংগঠনের ডাকে বনধ পালন করা হচ্ছে। এতে আমাদের রুজি রোজগারে টান পড়ছে।
আমাদের এই বাসের কাজই সহায় সম্বল। যেদিন কাজ হয়না বা বাস চলেনা, সেদিন আমরা কোনও টাকা পাইনা। আর এভাবে সংসার চালানো খুব মুশকিল। সরকারকে বলব এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে। আর যারা এরকম হঠাৎ করে বনধ ডাকেন, তাঁদেরকেও বলব আমাদের মতো প্রান্তিক গরীব মানুষদের কথা একটু চিন্তা করুন”।
এই বিষয়ে রাজু মাল নামের এক বাসযাত্রী বলেন, “গত দুই মাসে এভাবে রাস্তায় বেরিয়ে দু’বার বিপদে পড়লাম। প্রত্যেকদিন খবর দেখে বেরোনো সম্ভব নয় যে কবে বনধ আছে আর কবে বনধ নেই। এভাবে চললে ব্যবসা লাটে উঠে যাবে। আমাকে আমার ব্যবসার কাজে সপ্তাহে ৪ দিন জঙ্গল মহলের ভিতরে যেতে হয়।
আর বাস ছাড়া সেখানে যাওয়ার উপায় নেই। আজ মনে হচ্ছে আর যাওয়া যাবে না। বাড়ি ফিরে যেতে হবে”। এক কলেজ ছাত্রী তথা বাস যাত্রী পৃথা সিংহ মহাপাত্রও এই নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, “প্রশাসনের উচিৎ এসব বনধ ঘোষণা করা সংগঠনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া”।