এদিকে, তৃণমূল বলেছে, যারা ক্ষমতায় থেকে মানুষের কাজ করেনি, টিকিট পাবে না জেনে দল ত্যাগ করেছেন। এদের তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না প্রতিক্রিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। উল্লেখ্য, চাঁচল, মানিকচকের পর কালিয়াচক। রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকছে তৃণমূল কংগ্রেসের। গতকাল তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করলেন সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ আরিফ সহ ১৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য। ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ১৮ জন দলত্যাগ করেছেন। কংগ্রেসে যোগদান করেছেন কালিয়াচক এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি।
কংগ্রেসের দাবি, এর ফলে কালিয়াচকে আরও শক্তিশালী হল কংগ্রেস। এই বিষয়ে দলত্যাগ করা মহম্মদ আরিফ জানান, “তৃণমূল দলটা এমন যে এখানে কেউ থাকতে পারবেন না। শুধু তোলাবাজি ও দুর্নীতি। সেই সঙ্গে ধান্দাবাজি। খালি টাকার জোরে চলছে। কেউ টাকা না দিলেই সে খারাপ।
এভাবে কোনও ভদ্রলোক তৃণমূলে থাকতে পারেন না। তাই অনেকদিন ধরে ভাবনা চিন্তা করার পরে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জেলায় কংগ্রেসের একটা ঐতিহ্য আছে। সেই ঐতিহ্যে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের জন্য জান লড়িয়ে দেব”।
যদিও এই দলবদলকে খুব একটা আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল। জেলাস্তরের এক শীর্ষ তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “তাঁরাই দলবদল করছেন যারা এবার টিকিট পাচ্ছেন না। তাঁরা শুধু সুবিধে নিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। মানুষ এদের কোনোদিন ক্ষমা করবেন না।
মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের ফলে সবাই তা দেখতে পাবেন”। যদিও এই দলবদলে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব এবার মনে করছেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াচকে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।