ইডি হেফাজতে থাকাকালীন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও একাধিক বার সুজয়কৃষ্ণ তা এড়িয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। কিছু ক্ষেত্রে তিনি তদন্তকারীদের ভুল পথে চালিত করার চেষ্টাও করেছেন। ইডি ইতিমধ্যেই আদালতে দাবি করেছে, অন্তত ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনে জড়িত সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর চারটি কোম্পানির মধ্যে এ পর্যন্ত দুই কোম্পানির টাকা ও সম্পত্তির লেনদেনের কিছু তথ্য সামনে আনা গিয়েছে।
হাতে আছে আরও দুই কোম্পানি। এ সব ক্ষেত্রে বিপুল লেনদেনের প্রাথমিক সূত্র সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। যার মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও রয়েছে। এ ছাড়া ভিন রাজ্য থেকেও টাকার লেনদেন হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে হাওয়ালার মাধ্যমে কালো টাকা এনে সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডির। এবং সুজয়কৃষ্ণের রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় তা বেশি করে লগ্নি করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের অনুমান, এর বড় অংশের মধ্যে রয়েছে গোরু ও কয়লা পাচারের টাকাও। সে কারণে সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধি ইডি-সিবিআই দুই সংস্থার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও সিবিআই এখনও কালীঘাটের কাকুকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি। তবে জেল হেফাজতে পাঠিয়েও যাতে সুজয়কৃষ্ণকে নজরে রাখা যায়, সে কারণে আদালত থেকে বিশেষ অনুমতি আদায় করেছে ইডি। আদালতও সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধি সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে। তাঁর সঙ্গে কারা জেলে দেখা করতে আসছেন, সেই ফুটেজ সংরক্ষণের কথাও বলা হয়েছে।
যদিও সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী শেখ সেলিম রহমান ইডি-সিবিআইয়ের দাবি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘কোনও নথি বা প্রমাণ ছাড়া যা খুশি তাই বললেই কি দোষী প্রমাণিত হয়ে যায়? নথি ছাড়া রাম শ্যামের দাবি বা ইডি-সিবিআইয়ের দাবির মধ্যে ফারাক নেই। তাই নিম্নমানের এই ট্রিক-এর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’