তৃণমূল অঞ্চল প্রধান অনিতা সাহা অভিযোগ করে জানান, অঞ্চলের পাঁচ বছর ধরে প্রধান উপপ্রধান এবং সমস্ত মেম্বার নিয়ে সুষ্ঠুভাবে সবাইকে নিয়ে সাধারণ মানুষদের পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর তালিকায় নাম না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই ঘটনায় কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি জানান, মালদা জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীর কোন্দল ক্রমশ বাড়ছে। তাঁর কথায়, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা দেখতে পাচ্ছি যারা তৃণমূলের পাঁচ বছরের জন্য প্রধান ,উপপ্রধান ,মেম্বাররা দলের কাজ করেছেন তারা আজকে টিকিট পাচ্ছেন না।”
মালদা জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মৈত্র জানান, তৃণমূল কংগ্রেস দল কাকে পার্টি করছে বা কাকে পার্টি করছে না সেটা জনগণ দেখছেন। দল প্রার্থীর হিসেবে আইপ্যাক করছে। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদ বিক্রি হচ্ছে। এই তৃণমূল অচিরে ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। আপাত দুর্নীতিগ্রস্ত দলের এটাই শেষ পরিনতি।
যদিও বিরোধীদের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু। তিনি জানিয়েছেন, বিরোধীদের আর কোনও জায়গা নেই। যার জন্য তাঁরা ভুলভাল বলছেন। এতে তৃণমূল পাত্তা দেয় না। টিকিটের বিষয় সহ-সভাপতি জানান, টিকিট পাওয়ার বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছেন।
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তালিকায় যাঁদের নাম আসেনি, তাঁদেরকে দল অন্য কোনও বিষয়ে কাজ দেবে। নতুনদের কেউ সুযোগ দিতে হবে। এ বিষয়টি আমরা এভাবে দেখছি আর যারা এরপরেও দলের বিরুদ্ধে যাঁরা চলে যাচ্ছে, তাঁদের দলের দরজা চিরদিনের মত বন্ধ হয়ে যাছে। তবে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের নতুন প্রার্থী কী সুবিধা করবে, বোঝা যাবে ফল প্রকাশের পর।