রাজনৈতিক তরজার মধ্যে নওশাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তৃণমূল আইটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূল যুব নেতার দাবি, শুরু থেকেই বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। দাবির প্রমাণ স্বরূপ হোয়াটস্যাপ চ্যাটের দুটি স্ক্রিনশট টুইট করেছেন দেবাংশু। তৃণমূলের তরুণ নেতার দাবি, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে মেসেজিং অ্যাপ মারফত যোগাযোগ করতেন নওশাদ। যদিও দেবাংশুর দেওয়া স্ক্রিনশটের সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।
হোয়াটস্যাপ কথোপকথনের দুটি স্ক্রিনশট দিয়ে টুইটে দেবাংশু লেখেন, ‘আমরা সবসময়ই বলি ভোট কাটার জন্য নির্বাচনের আগে বিজেপি বেশ কিছু রাজনৈতিক দল তৈরি করে। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন, আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পিএ নিত্যানন্দ রাইয়ের কথোপকথন ফাঁস হয়েছে। এটা ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনের সময়কার ঘটনা। লজ্জা।’
তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেবাংশুর করা টুইটটি রিটুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের সেকেন্ড ইন কমান্ড লেখেন, ‘এই কথোপকথন থেকেই স্পষ্ট ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। এর চেয়ে অপমানজনক আর কী হতে পারে? এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের সামনে তুলে ধরা উচিত এবং যথাযথ তদন্ত করা দরকার।’
তৃণমূলের করা অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বলছেন নওশাদ? ফোনে এই সময় ডিজিটালকে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘এখন আমি এই নিয়ে কিছু বলব না। আজ সকাল ১১টার দিকে সাংবাদিক বৈঠক করে যা বলার বলব।’
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নওশাদ সিদ্দিকি প্রকাশ্যে কংগ্রেস আর সিপিএমের সঙ্গেই আছেন। বিজেপির প্রয়োজন নেই নওশাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার। তবে হ্যা। বিরোধি দলের ওপর অত্যাচার হলে বিজেপি পাশে দাঁড়াবে। আগেও করেছে। আগামী দিনেও করবে। আমি জানি না কি চ্যাট। চ্যাট করা কোনও অপরাধ নয়।’