শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বিদ্রোহে ইতি! ‘দলের নির্দেশ মেনেই দলীয় কর্মীদের হয়ে প্রচার করব’। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এবার সুর বদলে ফেললেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কেন? বললেন, ‘এখনও তো দলের মধ্য়ে আছি। দলের নির্দেশ, যাঁরা নির্দল, তাঁদের হয়ে প্রচারে যাওয়া যাবে না। যতক্ষণ দলে আছি, দলের সিদ্ধান্তই মানতে হবে’।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: নির্দল হয়ে জিতে ‘বিক্রি’ হওয়া যাবে না, অভিনব উদ্যোগ নিল গ্রামবাসী
পঞ্চায়েত প্রার্থী কারা হবেন? তৃণমূলে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’। দল যাঁদের টিকিট দিয়েছে তাঁরা যেমন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, তেমনিও আবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন বিক্ষুদ্ধরা! নির্দলদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সেই নির্দেশ না মানায় এখন জেলায় জেলায় বহিষ্কার করা হচ্ছে নেতা-কর্মীদের।
হুগলির বলাগড়ে টিকিট বন্টন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। দলের ব্লক সভাপতি নাম করে তিনি বলেছিলেন, ‘নবীনের কাছে এত বাড়তি টিকিট কোথা থেকে এল! কীভাবে এল! এর পিছনে বিরাট টাকা খেলা আছে। সিআইডি তদন্ত হোক। প্রত্য়েকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ভাগ অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছেছে’। অবশেষে বরফ গলল।
কীভাবে? জি ২৪ ঘণ্টাকে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বললেন, ‘সেই মানুষগুলির প্রতি আমার সহানুভূতি আছে। আমার জন্য নির্বাচনে সময় তারা কী পরিমাণ পরিশ্রম করেছে, সেটা আমি দেখেছি। এবং এটাও আমি দেখলাম, জানলাম যে কীভাবে তাদের বঞ্চিত করা হল, দল বুঝবে। আমি তো নতুন এসেছি। নবাগত মাত্র। ২ বছর হল এসেছি। দিদি কী করবে, দল কী করবে সেটা তারা বুঝবে’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমার তো অন্তত ২৫, ৩৫ শতাংশ টিকিট পেয়েছি। তাদের জেতাবার জন্য খাটতে হবে’।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: জঙ্গলমহলে ভাঙছে কুড়মি ঐক্য, নীরবে ঘর গুছিয়ে নিয়েছে শাসকদল!
এদিকে মুর্শিদাবাদে ‘নৌকা’ প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীরা। বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে দল আমাকে বহিষ্কার করুক। আমার একজন প্রার্থীও সরে দাঁড়়াবে না। নির্দল হয়েও জিতে দেখাব’। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সুর নরম করেছেন তিনি।