শনিবার স্বস্তিপল্লীর মাঠে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সভায় উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সেখানেই এক জনৈক ব্যক্তি তাঁকে এই প্রশ্ন করেন। নিজের মতো করে সেই প্রশ্নের উত্তর দেন মীনাক্ষী। কিন্তু গণ্ডগোল শুরু হয় তারপরেই। অভিযোগ, অতি উৎসাহী কয়েকজন কর্মী-সমর্থক ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করে। এমনকী চড়-থাপ্পড় মারে বলেও অভিযোগ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে। প্রশ্ন উঠছে, সাংগঠিনকভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে যাওয়া সিপিএম যখন ফের জন সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে, তখন দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশের এহেন আচরণে ঠিক কী প্রভাব পড়বে জনমানসে? এই বিষয়ে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, ফোন ধরেননি তিনি।
কমিশনের সমালোচনায় মীনাক্ষী
অন্যদিকে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে মানুষকে সুরক্ষা দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। তার জন্য তারা বেতন পান।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও সুরক্ষিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যার যেটা দায়িত্ব সে সেটা পালন করছে না। কিন্তু আমাদের কাছে আজকের তারিখে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল পঞ্চায়েত ভোটটা কোন এজেন্ডায় হবে? শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে আসবে কি আসবে না তার জন্য? না কি ৮৪ লক্ষ জব কার্ড ওরা বাতিল করেছে, আর সাড়ে ১৪ লক্ষ জব কার্ডের টাকা তৃণমূল মেরেছে তার জন্য?’
প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না এই নিয়ে যখন ভোটারদের মনে ঘোরতর প্রশ্ন ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তি। সেখানে বলা হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টহল দেবে, নাকা চেকিংয়ের কাজে মোতায়েন থাকবে, এমনকী ভোটারদের আস্থা অর্জনের কাজও করবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং দুই রাজ্যের সীমানা পাহারা দেওয়ার কাজেও মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না তার কোনও উল্লেখ নেই কমিশনের সেই বিজ্ঞপ্তিতে। আর তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও বুথেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে না?