গত দু’মাসে একাধিকবার তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি থেকে অভিষেককে একই সুরে দলের নিচুতলার কর্মীদের সতর্ক করতে দেখা গিয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই দলীয় জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে তৃণমূলের কেউ যদি আপনাদের কাছে টাকা চায়, আমাকে জানাবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, ‘কেউ টাকা চাইলে, বলবেন দিদিকে বলে দেবো। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নম্বর আছে আমার কাছে।’
এদিন প্রায় একই সংলাপ সুকান্তর মুখে শোনা যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও তৃণমূল মনে করছে, সুকান্ত ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছেন। কারণ, বিজেপি পঞ্চায়েতে কোথাও জিতবে না আর সুকান্তকেও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে না। জোড়াফুলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির জেতা অনেকটা সোনার পাথরবাটির মতো। তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এর নজির অনেক আছে। বিজেপি দুর্নীতিগ্রস্তদের মাথায় মুকুট পরিয়ে রাখে। তার উদাহরণ হলেন শুভেন্দু অধিকারী।’
ওই নির্বাচনী সভা থেকে সুকান্ত দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে গিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল ভোট লুট করতে এলে ডান্ডাপেটা করুন। পুলিশ আপনাকে তারপর ধরে নিয়ে যাবে। একমাসের মধ্যে আপনাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’ তৃণমূলের দাবি, এ কথা বলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সরাসরি হিংসায় উস্কানি দিয়েছেন। এদিন আলিপুরদুয়ারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলকে।