কলকাতার ময়দান চত্বরে ধর্মতলা মুখী কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক ভিড়। তৃণমূল সমর্থকদের অনেককেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখে কেউ অবাক চোখে তাকিয়ে রয়েছেন, কাউকে আবার মেমোরিয়ালের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে নিজস্ব তুলতে দেখা গেল।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে দেখা মিলল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা আজিজুর ইসলাম নামে এক তৃণমূল সমর্থকের। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো সেইভাবে কলকাতায় আসা হয় না। দিদির মিটিংয়ের জন্য কালই কলকাতা এসে পৌঁছেছি। মোবাইলে আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ছবি দেখেছি। কিন্তু এই প্রথম নিজের চোখে দেখালাম। তাও এবার ভিতরে ঢোকার সুযোগ হল না। পরেরবার যদি আসি, চেষ্টা করব ভিতরে ঢোকার।’
শুধু ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালই নয়, আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনেও একই ছবি। প্রত্যন্ত জেলা থেকে আগত তৃণমূলকর্মী সমর্থকদের আলিপুর এলাকায় থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেখান থেকে ধর্মতলা রওনা হওয়ার আগে অনেক তৃণমূলকর্মীরাই চিড়িয়াখানার সামনে ভিড় জমিয়ছে।
চিডিয়াখানা দেখে বেরিয়ে উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূলকর্মী গোপাল রায় বলেন, ‘চিড়িয়াখানা আগেও দেখেছি। তবে বহু বছর আগে। আজ আবার দেখার সুযোগ হল। কাল আমরা সারারাত কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখেছি। খুবই ভালো লেগেছে। চিড়িয়াখানা দেখে নিয়েছি। এবারা দিদির সভার উদ্দেশে রওনা দেব। দিদি কী বার্তা দেন সেটা খুব মন দিয়ে শুনব। সার বছর সেই অনুযায়ী কাজ করব।’
উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ তৃণমূলের সব থেকে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি। এই সমাবেশ থেকে আগামী দিনে দল ও তৃণমূলকর্মীদের চলার পথ বাতলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের এই শহিদ সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল সুপ্রিমো আজ কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ও দলের কর্মীসমর্থকরা।