আদি তৃণমূলদের অভিযোগ, ধর্মতলায় জনসভা শেষ করে বাড়িতে এসে সরুপোল বাজারে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আদি তৃণমূলের কর্মীরা। তখনই আচমকা হামলা চালায় নব্য তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী। পাশাপাশি চৌধুরীচক এলাকার আরও দুটি আদি তৃণমূল সদস্যের বাড়িতে ঢুকে বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি মহিলাদের মারধর ও শ্লীলতাহানী করে। এমন কি বাড়ির ছোট বাচ্চাদেরও মারধর করে নব্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই চৌধুরী চক, রাধানগর সহ বেশ কিছু এলাকার সমাজবিরোধীরা BJP-র হয়ে ভোট প্রচার করেছিল, তারাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছে বলে পাড়া সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সমস্ত দল পরিবর্তনকারী নব্য তৃণমূলের কর্মীরা আদি তৃণমূলের কর্মীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় হারান মণ্ডল, স্বপন মণ্ডল সহ আরও প্রায় পাঁচ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে হারান মণ্ডল ও স্বপন মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এলাকার নব্য তৃণমূল বাপ্পা মণ্ডল, চিরঞ্জিত মণ্ডল, তরুন মণ্ডলদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলে আদি তৃণমূলের কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। এক আদি তৃণমূল কর্মী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে তৃণমূলের সদস্য। কিন্তু এই লোকগুলির দলের কোনও ঠিক নেই।
এখন তৃণমূলের হয়ে খাটছে। আবার যে কোনও দিন অন্য দলে চলে যেতে পারে। তাই আমরা বিশেষ পাত্তা না দেওয়াতেই আমাদের উপর রাগ ওদের। হামলার সময় আমিও ছিলাম। কোনোরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে আসি। এই বিষয়ে আমরা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানাবো’।