রবিবার দিল্লি যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘যে ভাবে সিএএ-র অপব্যাখ্যা করে এখানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আগুন লাগিয়েছিলেন, ইউসিসি নিয়ে সিদ্দিকুল্লহ চৌধুরীর জমিয়ত উলেমা হিন্দ আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে। আমি সমস্ত সচেতন নাগরিক ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলব। আগামী শুক্রবার, ইসলাম ধর্ম যাঁরা পালন করেন, তাঁদের জুম্মার দিনে ধর্মীয় স্থানগুলিতে এই বিষয়ে ক্যাম্পেন করার জন্য জমিয়ত উলেমা হিন্দ একেবারে লিফলেট করে ছড়াচ্ছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও পুলিশকে সতর্ক করব, যে এই ধরণের মিথ্যা প্রচারের জন্য অনুমতি যেন না দেওয়া হয়।’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে ঠিক একইভাবে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা ছোট ছোট অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চাদের রাস্তায় নামিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য তৈরি করেছিল। সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই, পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে। একইভাবে ইউসিসি-র ড্রাফট পর্যন্ত এখনও প্রকাশিত হয়নি এবং ইউসিসি নিয়ে কোনও সরকারি স্তরে আলোচনা শুরু হয়নি, সেক্ষেত্রে তারা পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিম মানুষ তৃণমূলের কাছ থেকে সরে যাচ্ছে বলে, আবার নতুন করে অশান্তি তৈরি করার জন্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জমিয়ত উলেমা হিন্দকে ব্যবহার করছেন। আমি সকলকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে বলছি, যাতে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে আর এই ধরণের বিশৃঙ্খলা ও পারস্পরিক সম্প্রীতি নষ্ট না হয়।’
মণিপুর ও মালদা প্রসঙ্গে…
অন্যদিকে এদিন মণিপুর নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘মণিপুর আর পশ্চিমবঙ্গ কোনওটাই আলাদা নয়। তৃণমূলের কাছে মণিপুরেরটা নিন্দনীয় ও পশ্চিমবঙ্গেরটা প্রশংশনীয়। আর বিজেপির কাছে মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, মালদা সবটাই নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য।’
প্রসঙ্গত, এদিন হঠাৎই দিল্লি গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর এই দিল্লি যাত্রা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু বলেন, ‘দলের কিছু অভ্যন্তরীণ কাজ আছে, এটা সংবাদমাধ্যমকে বলার মতো নয়।’ যদিও শুভেন্দুর হঠাৎ এই দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে।