প্রসঙ্গত, একুশ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘৭১ হাজার বুথে নির্বাচন হল, আর ৩টি জায়গায় গণ্ডগোল হল। একটা ভাঙড়, যেখানে গণ্ডগোল করেছে ওই হাঙররা, একটা ডোমকল, যেখানে আমার জিতিনি, আমরা হেরেছি, ওরা গণ্ডগোল করে জিতেছে। একটা গণ্ডগোল হয়েছিল ইসলামপুর বা চোপড়ায়, আর কোচবিহারে মারা গিয়েছেন একজন। আর তৃণমূলের ১৮ জন খুন হয়েছেন।’ মমতা আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দিচ্ছি ও একটা করে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি।’
এরপরেই মুখ খোলেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘ভাঙড়ে কিছু রাজনৈতিক কারবারী আছে, শাসকের কিছু হাঙর আছে, যারা বর্তমানে হায়নার রূপ ধারণ করেছে। যারা জলাজমিকে বুজিয়ে দিয়ে প্রাসাদ সমান বাড়ি করছে ও বিক্রি করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু হাঙর আছে ভাঙড়ে, যারা জমির দালালি করে। ভাঙড়ে ওই সমস্ত তৃণমূলের হাঙররা আছে, যারা নানান সরকারি প্রকল্প থেকে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে। ভাঙড়ে কিছু সংখ্যক হাঙর আছে তৃণমূলের, যারা লেদার কমপ্লেক্সকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত করছে এবং তোলা তুলছে।’ নওশাদ আরও বলেন, ‘ভাঙড়ে নতুন করে হাঙর দেওয়া হল, সওকত মোল্লার মতো হাঙর, সওকত মোল্লার মতো হায়নাকে, যারা ভাঙড়কে উত্তপ্ত করল। বাইরে থেকে গুলি বন্দুক নিয়ে এসে আতঙ্কিত করে তুলল শান্ত ভাঙড়বাসীকে।’
একইসঙ্গে ভোটে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন ভাঙড়ের বিধায়ক। তিনি বলেন, ,’২ লক্ষ টাকা ও একটা হোমগার্ডের চাকরি দিয়ে দিলেই দায়ভার ঘাড় থেকে নামিয়ে দেওয়া যায় না। তাঁদের বেতন কত, সেটাও আমরা জানি না। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সন্ত্রাস হয়েছে, তার দায়ভার প্রথমে নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে ও রাজ্যের শাসকদলকেও নিতে হবে।’