‘ভাঙড়ে হাঙররা গণ্ডগোল করেছে’ বলে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা সওকত মোল্লাকে হাঙরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঙর মন্তব্য নিয়ে ফের একবার মুখ খুললেন নওশাদ। বললেন, ‘ভাঙড়ের হাঙর কারা, মুখ্যমন্ত্রী ওখানকার মানুষকে প্রশ্ন করুন।’ আবার অন্যদিকে সওকত মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘নওশাদ ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, একুশ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘৭১ হাজার বুথে নির্বাচন হল, আর ৩টি জায়গায় গণ্ডগোল হল। একটা ভাঙড়, যেখানে গণ্ডগোল করেছে ওই হাঙররা, একটা ডোমকল, যেখানে আমার জিতিনি, আমরা হেরেছি, ওরা গণ্ডগোল করে জিতেছে। একটা গণ্ডগোল হয়েছিল ইসলামপুর বা চোপড়ায়, আর কোচবিহারে মারা গিয়েছেন একজন। আর তৃণমূলের ১৮ জন খুন হয়েছেন।’ মমতা আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটা পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দিচ্ছি ও একটা করে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি।’

Mamata Banerjee on Bhangar : ‘ভাঙড়ে হাঙররা গণ্ডগোল করেছে…’, ২১শের সভায় কাদের নিশানা মমতার?
এরপরেই মুখ খোলেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘ভাঙড়ে কিছু রাজনৈতিক কারবারী আছে, শাসকের কিছু হাঙর আছে, যারা বর্তমানে হায়নার রূপ ধারণ করেছে। যারা জলাজমিকে বুজিয়ে দিয়ে প্রাসাদ সমান বাড়ি করছে ও বিক্রি করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু হাঙর আছে ভাঙড়ে, যারা জমির দালালি করে। ভাঙড়ে ওই সমস্ত তৃণমূলের হাঙররা আছে, যারা নানান সরকারি প্রকল্প থেকে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে। ভাঙড়ে কিছু সংখ্যক হাঙর আছে তৃণমূলের, যারা লেদার কমপ্লেক্সকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত করছে এবং তোলা তুলছে।’ নওশাদ আরও বলেন, ‘ভাঙড়ে নতুন করে হাঙর দেওয়া হল, সওকত মোল্লার মতো হাঙর, সওকত মোল্লার মতো হায়নাকে, যারা ভাঙড়কে উত্তপ্ত করল। বাইরে থেকে গুলি বন্দুক নিয়ে এসে আতঙ্কিত করে তুলল শান্ত ভাঙড়বাসীকে।’

Bhangar News : ফের ভাঙড়ে গুলি! হাসপাতালে TMC প্রার্থী, কাঠগড়ায় ISF
একইসঙ্গে ভোটে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন ভাঙড়ের বিধায়ক। তিনি বলেন, ,’২ লক্ষ টাকা ও একটা হোমগার্ডের চাকরি দিয়ে দিলেই দায়ভার ঘাড় থেকে নামিয়ে দেওয়া যায় না। তাঁদের বেতন কত, সেটাও আমরা জানি না। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সন্ত্রাস হয়েছে, তার দায়ভার প্রথমে নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে ও রাজ্যের শাসকদলকেও নিতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version