তলিয়ে যাওয়া ছাত্রীদের একজন নিশা খাতুন ও অপরজন মাহফুজা খাতুন। উভয়ের বাড়ি লালগোলা থানা এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিশা খাতুন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং মাহফুজা খাতুন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। জানা গিয়েছে, সোমবার মামার বরযাত্রী যাওয়ার জন্য ভাগীরথী নদীতে স্মান করতে গিয়েছিলেন ওই দুই ছাত্রী।
তখনই কার্যত অসাবধানতাবশত তলিয়ে যায় দুজনেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে ডুবুরি টিমকে। বিয়ের বরযাত্রী যাওয়ার আগেই দুই ছাত্রীর নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিয়ে বাড়িতেও। দুই ছাত্রীকে উদ্ধারে কাজ চলছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজকে বিয়েবাড়িতে ওরা দুজনে এসেছিল। আজকেই বিয়ের দিন। সকালে এদিন দুজনে মিলে নদীতে স্নান করতে আসে। হঠাৎ করে দুজনে জলে তলিয়ে যায়।’ তবে দুজনের একজনকেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এলাকার বাসিন্দারাও দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। পাশাপাশি, নিয়ে বাড়িতেও দুঃখের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিয়ে বাড়ির মাঝেই এরকম ঘটনা ঘটায় মুষড়ে পড়েছেন সকলেই।
ভাগীরথী নদীতে মাঝেমধ্যেই তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। মাস তিনেক আগেই নদিয়া জেলায় ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় তিন কিশোর। পড়ে নদী থেকে এক কিশোরের দেহ উদ্ধার করা হল। বাকি দু’জনের খোঁজে জোরদার তল্লাশি করা হয় কালীগঞ্জ থানার ফরিদপুর হরিণডাঙা ঘাটে ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, তিন বন্ধু মহিদুল শেখ (১৮), ইজামুল শেখ (১৭) ও ওমর আলি শেখ (১৮) একসঙ্গে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নামে। স্নান করতে নামার পরেই তাঁরা তলিয়ে যায় বলে জানা যায়।