৪৫ বছরের রেকর্ড! কোন জাদুতে মেদিনীপুরের এই বুথে পঞ্চায়েতের জন্মলগ্ন থেকে জেতে CPIM


দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর, কেউ টলাতে পারেনি CPIM প্রার্থীকে। ভরা তৃণমূল জমানা হোক বা সাম্প্রতিক বিজেপির আস্ফালন, জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন CPIM প্রার্থীরা। লাল ধ্বজা উড়েছে শেষ চার দশক ধরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা পঞ্চায়েতের হাতিগাড়িয়া কুড়ি নম্বর বুথে।

Paschim Medinipur News : &amp#39;বাড়িতে থাকতে দেয় না ছেলে&amp#39;! দুই মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে নিয়ে গাছতলায় ঠাঁই বৃদ্ধার
পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে CPIM প্রার্থীরা। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে এ যাবৎ কাল পর্যন্ত হারতে হয়নি একজনও বাম প্রার্থীকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের খাজরা পঞ্চায়েতের হাতিগাড়িয়া কুড়ি নম্বর বুথে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য সিপিএম প্রার্থীরা।

Paschim Medinipur : ভালো পরিষেবায় জোর, বিশেষ স্বীকৃতি পেল পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬ স্বাস্থ্যকেন্দ্র
এবারও হাতিগাড়িতে কুড়ি নম্বর বুথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বিজেপি, সিপিএম ও তৃণমূল। সেক্ষেত্রে মানুষের বিচারে সংখ্যাগরিষ্ঠ জয় পেয়েছে সিপিএম মনোনীত প্রার্থী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের শুরু থেকেই ২০১৮ পর্যন্ত সিপিএমের দখলে ছিল খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েত।
পাশাপাশি এই গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন হাতি গাড়িয়া কুড়ি নম্বর বুথ ও দখলে রয়েছে সিপিএমের। সিপিএমের আত্মবিশ্বাস, আগামীতেও মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে তারা নিজেদের জয়ের ধারা অক্ষর রাখবেন। সিপিএম সূত্রে খবর প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছে দলটি।

Paschim Medinipur News : ১২ দিনেই মোহভঙ্গ! জয়ী BJP প্রার্থীর যোগদান ঘাসফুলে, মেদিনীপুরে পঞ্চায়েত দখল তৃণমূলের
কখনও গরিব মানুষদের চাষের জমি পাইয়ে দেওয়া আবার কখনও রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ একাধিক মানুষের সেবায় কাজ করেছেন দলের প্রতিনিধিরা। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষ অনেকটাই উপকৃত হয়েছে সিপিএম জয়ী প্রার্থীদের থেকে। সে কারণেই মানুষ প্রতিবারে নির্বাচনে জয় যুক্ত করেছে সিপিএম মনোনীত প্রার্থীকে বলে দাবি। এবারেও প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেছেন তারা। সবমিলিয়ে দশ টিমে মোট 50 বছর নিজেদের জয়ের ধারা অক্ষুণও রেখেছে দলটি।

Jalpaiguri CPIM : প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বামপ্রার্থী! ভোটে জিতেই বিধবার মাথায় ছাদ!

গত West Bengal Panchayat Election- এ আগের তুলনায় কিছুটা হলেও ভালো ফল হয়েছে বলে দাবি সিপিএমের। সেই জায়গায় এই গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজেদের কতৃত্ব বজায় রাখার ঘটনা বাড়তি অক্সিজেন জোগায় বলেই মনে করছে দল। আলাদা কোনও জাদুমন্ত্র নয়, গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পরিষেবা দিয়ে যেতে পারলেই মানুষ বছরের পর বছর তাঁদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে বলেই ধারণা স্থানীয় নেতৃত্বের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *