বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ কলকাতায় আসেন গতকাল। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই তাঁর মুখে উঠে আসে এপার বাংলায় নির্বাচনে হিংসার প্রসঙ্গ। তিনি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নতির ব্যাপারে মত প্রকাশ করেন। তবে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর মুখে উঠে আসে এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিষয়।
মূলত, এপার বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গে ওপার বাংলার সাধারণ নির্বাচনের তুলনা টানেন তিনি। মন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, এখানে (পশ্চিমবঙ্গে) কদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে কী হয়েছে আপনারা সবাই দেখেছেন।
এরপরেই বাংলাদেশের কিছু নির্বাচনের কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, বরিশালে স্থানীয় নির্বাচনে এক প্রার্থীর গায়ে ঘুষি লেগেছিল। সেই ঘুষি যে মেরেছে এমনকি সেই ঘুষি মারার সময় আশেপাশে যে সব ব্যক্তি ছিল সকলকেই গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি, ঢাকা শহরে কিছুদিন আগে একটি উপনির্বাচন হয়েছে, সেটিও অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হয়। সকলে শান্তিতে ভোট দিতে পেরেছে বলে জানান তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একজন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মন্ত্রীর মন্তব্য বাড়তি মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসার ঘটনা নিয়ে লাগাতার সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধীরা। যদিও তা মানতে রাজি নয় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি, দুদিন আগেই ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাম জমানার কথা তুলে ধরেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে অনেক বেশি হিংসা হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাশাপাশি, ভারত – বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পর্ক নিয়েও মন্তব্য করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। হাসিনা সরকারের আমলে দুই দেশের সম্পর্কের অনেকটাই উন্নতি হয় বলেই দাবি করেন তিনি। হাসিনা সরকারের বদলে অন্য কোনও সরকার থাকলে এতটা উন্নত সর্ম্পক হতো না বলে দাবি করেন তিনি।