অভিযোগ পেয়ে চন্দননগর পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ আবাসনে অভিযান চালায়। আটক করে ৪৫০ বোতল তেল, বোতল সিল করার যন্ত্র, প্রচুর খালি বোতল এবং তেল তৈরির সামগ্রী। গ্রেফতার করা হয় ভেজাল তেল তৈরির কারবারি গোপাল সাহাকে (৫৫)। আজ ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ।
আবাসনের বাসিন্দা জয়দেব বোস বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই টের পাইনি যে গোপালবাবু এরকম নকল তেলের কারবার করছেন। পুলিশ আসার পরেই জানতে পারি। তবে বাইরে থেকে গাড়ি আসতো কিনা তা বলতে পারব না। যদি সে অন্যায় করে থাকে তাই তাঁকে পুলিশ ধরলে সঠিক কাজ করেছে।’
এই বিষয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিতাভ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আবাসনের ভিতরেই সেই এই কাজ করত। এর আগেও তাঁকে একবার পুলিশ ধরে ছিল। ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে আমি অনেকবার বারণ করেছিলাম, আবাসনের ভিতরে এই রকম কাজ না করার জন্য। আমাকে বলেছিল আমি এসব কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। গতকাল পুলিশ আসার পরেই জানতে পারি যে এখানে নকল তেল তৈরি হত। পুলিশ তাঁকে ধরে সঠিক কাজ করেছে।’
চন্দননগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি নামী নারকেল তেল প্রস্তুতকারী সংস্থার তেল নকল করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে উত্তরপাড়া থানায় এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের হয় গত সপ্তাহে। এরপরেই তদন্তে নামে চন্দননগর পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। গোপন সূত্রে ওই আবাসন নিয়ে পুলিশের কাছে খবর যায়।
এদিন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার আগে সাদা পোশাকে পুলিশ এসে আবাসনটি ঘুরে দেখে যায় বলেও সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই মাটির নিচ থেকে জল তোলার মেশিন বিক্রি করা নামী সংস্থার পণ্য নকল করে বিক্রি করার অভিযোগে সিঙ্গুরের সাত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৩০ টি মেশিন।
