এই আদর্শ গ্রামগুলিতে বিভিন্ন ধরণের সুবিধা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গ্রামের প্রত্যেকটা প্রান্ত যেন রাস্তার সঙ্গে যুক্ত থাকে। প্রত্যেকটা বাড়িতে যেন পানীয় জল পৌঁছায়। প্রত্যেকটা বাড়িতে যেন বিদ্যুৎ থাকে। আর সমস্ত মানুষেরা যেন নাম সই করতে পারেন, তাঁরা যেন সাক্ষর হন। সাক্ষরতা এতটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মৎস্যজীবীদের পরিবারের মধ্যে সাক্ষরহীন সংখ্যাটা বেশি। এটাকে আমি দূর করতে চাইছি। আমি চাইছি প্রত্যেকটা মৎস্যজীবী পরিবার লেখাপড়া শিকুক, তাদের ছেলে মেয়েরা ডাক্তার হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, তারা এগোক ক্রমশ। তারা যত এগোবে, তত সমাজ এগোবে।’
এই প্রসঙ্গে কাঁথি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান আমীন শোয়েল বলেন, ‘মন্ত্রী জানিয়েছেন যেখানে ৮০ শতাংশ মৎস্যজীবী থাকবেন সেখানে তিনি আদর্শ গ্রাম বলে রূপায়িত করবেন। সেই আদর্শ গ্রামে সবকিছুই উন্নয়ন থাকবে। রাস্তাঘাট, পুকুরে পাকা বাঁধ, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে একটা গ্রামে যেটা যেটা মানুষের সুবিধার জন্য প্রয়োজন সেই সবকিছুই থাকবে।’ এই ধরণের উদ্যোগের ফলে কাঁথির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যত মৎস্যজীবী থাকেন তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই মনে করেন আমীন শোয়েল।
এদিন বিভিন্ন বন্দর নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মৎস্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মৎস্যজীবীদের একাংশের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করা সত্ত্বেও বাড়েনি বন্দর, কিন্তু বেড়েছে নৌকার সংখ্যা। বন্দর নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘বন্দরগুলো বাড়ছে এবং বন্দরগুলোকে সচল করবার জন্য আমরা নানা ধরণের পরিকল্পনা করছি। একটু আর্থিক সংকট ছিল, আমরা সেটা কাটিয়ে ওটার চেষ্টা করছি। ক্রমাগতভাবে চেষ্টা করছি যাতে বন্দরগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে এবং অনেক মানুষ যাতে সেখানে কাজ করতে পারেন।’ অন্যদিকে এদিন ইলিশের স্বাদ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সেই বিষয়েও প্রতিক্রিয়া দেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। এদিনের অনুষ্ঠানে মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন স্কিমের সরকারি সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রত্যেক মৎস্যজীবীকে মৎস্য ক্রেডিট কার্ড করে নেওয়ার বার্তা দেন মন্ত্রী। বর্তমান সময়ে মৎস্য দফতরের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্য কার্ড খুবই জরুরি বলে জানান তিনি।