এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হত প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। আর এখানেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে উঠে আসছে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রসঙ্গও।
পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছে, যদি কোনও প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে বাড়িতে ফোন করতে হত সেক্ষেত্রে সিনিয়রদের অনুমতির প্রয়োজন পড়ত। শুধু তাই নয়, শৌচালয় পরিষ্কার থেকে শুরু করে সিনিয়রদের খাবার এনে দেওয়া ফাইফরমাশ খাটতে হত জুনিয়রদের। যদিও মৃত ওই পড়ুয়াকে এই ধরনের কোনও পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট করে জানাননি তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের ঘটনায় যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সত্য উদঘাটনের জন্য যাবতীয় চেষ্টা করছে পুলিশ, এই মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছিল কমিশনারকে। এবার রহস্যের জট ছাড়াতে আসরে নামলেন স্বয়ং কমিশনার। জানা গিয়েছে, তিনি সৌরভ চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে নিজেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
শনিবার তাঁর ঘরে এই অভিযুক্তদের কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কমিশনার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরীকে। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের ছাত্র ছিলেন। প্রাক্তন এই ছাত্র থাকতেন হস্টেলেই। জীবনে লক্ষ্য ছিল WBCS অফিসার হওয়া।
মৃত পড়ুয়ার বাবার সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে সৌরভের আলাপ হয়। এরপর রাতে যখন ওই ছাত্র মায়েক সঙ্গে কথা বলছিলেন সেই সময় সৌরভ ফোন কেড়ে নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন এবং তাঁর ছেলে ভালো আছেন এই কথাও জানান।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তাঁর কী কোনও ভূমিকা রয়েছে? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃত ওই পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই পড়ুয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।