যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। কী ভাবে এই ছাত্রের মৃত্যু হল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত করছে পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে থাকতেন ওই পড়ুয়া। হস্টেলে কি কোনওভাবে র‌্যাগিং চলত? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই উঠে আসছে একাধিক নয়া তথ্য। পাশাপাশি হস্টেলে ‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতি’ প্রসঙ্গও উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে, সূত্রের খবর এমনটাই।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, র‌্যাগিংয়ের নামে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হত প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। আর এখানেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে উঠে আসছে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি প্রসঙ্গও।

Sourav Ganguly Jadavpur university Case : ‘ভয়ানক…কড়া আইন আনা প্রয়োজন’, যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ
পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছে, যদি কোনও প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে বাড়িতে ফোন করতে হত সেক্ষেত্রে সিনিয়রদের অনুমতির প্রয়োজন পড়ত। শুধু তাই নয়, শৌচালয় পরিষ্কার থেকে শুরু করে সিনিয়রদের খাবার এনে দেওয়া ফাইফরমাশ খাটতে হত জুনিয়রদের। যদিও মৃত ওই পড়ুয়াকে এই ধরনের কোনও পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট করে জানাননি তদন্তকারীরা।

Jadavpur University Ragging : রুটিন করে পায়খানা পরিষ্কার থেকে দাদাদের ফরমাশ খাটা, যাদবপুরে ভয়াবহ র‌্য়াগিংয়ের পর্দাফাঁস
উল্লেখ্য, যাদবপুরের ঘটনায় যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সত্য উদঘাটনের জন্য যাবতীয় চেষ্টা করছে পুলিশ, এই মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছিল কমিশনারকে। এবার রহস্যের জট ছাড়াতে আসরে নামলেন স্বয়ং কমিশনার। জানা গিয়েছে, তিনি সৌরভ চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে নিজেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

Jadavpur University Ragging Case : ‘র‌্যাগিং’-এর ভিডিয়ো ভাইরালের হুমকি, মোবাইলে পৃথক ফোল্ডার! সৌরভের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য
শনিবার তাঁর ঘরে এই অভিযুক্তদের কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কমিশনার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরীকে। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের ছাত্র ছিলেন। প্রাক্তন এই ছাত্র থাকতেন হস্টেলেই। জীবনে লক্ষ্য ছিল WBCS অফিসার হওয়া।

মৃত পড়ুয়ার বাবার সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে সৌরভের আলাপ হয়। এরপর রাতে যখন ওই ছাত্র মায়েক সঙ্গে কথা বলছিলেন সেই সময় সৌরভ ফোন কেড়ে নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন এবং তাঁর ছেলে ভালো আছেন এই কথাও জানান।

Jadavpur University : হস্টেলের বাপই শেষ কথা বলে! জুনিয়ররা যেন প্রজা
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তাঁর কী কোনও ভূমিকা রয়েছে? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃত ওই পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই পড়ুয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version