Chandrayaan 3 Landing : চন্দ্রযান ২ এর ব্যর্থতাই মনে সাহস জুগিয়েছে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন পাঁশকুড়ার পীযূষ – piyush pattnaek of panshkura is responsible for controlling the temperature of chandrayaan 3


চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পরিকল্পনামাফিক কাজ শুরু করেছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদ থেকে তিন লাখ কিলোমিটার দূরে ইসরোয় বসে চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিলেন পীযূষ পট্টনায়েক। ভারতের গর্ব ও পাঁশকুড়া বাসীর আবেগের শীর্ষে এখন পাঁশকুড়ার পীযূষ পট্টনায়েক। চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ পট্টনায়েকের হাতে। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ পট্টনায়েক। বাবা পেশায় সেচ দফতরের কর্মচারী, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। মা গৃহবধূ।

Chandrayaan 3 Landing : চন্দ্রাভিযানে ফের জেলার জয়জয়কার, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে সামশেরগঞ্জের তোশিকুল
ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠেন পীযূষ। পীযূসের হাতে খড়ি হয় গ্ৰামেরই একটি স্কুলে। জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও মেধাবী ছিলেন পীযূষ। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন পাঁশকুড়া ব্রাটলি বাট হাইস্কুল থেকে। এরপর কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি.টেক পাশ করে ২০১৩ সালে খড়্গপুর IIT থেকে এম.টেক পাশ করেন। তারপর যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান ২ ও ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে।

Chandrayaan 3 Rover Pragyan Update: চাঁদ মামার বাড়িতে ঘুরছে রোভার প্রজ্ঞান, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পাত্রসায়েরের কৃশাণু
স্বভাবতই, চন্দ্রযান ৩ গতকাল চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশির আমেজ নেমে এসেছে উত্তর কোটালের পীযূষ কান্তি পট্টনায়েকের গ্রামের বাড়িতে। পীযূষের সফলতায় খুশী পরিবার, প্রতিবেশী সহ এলাকাবাসী। এই বিষয়ে পীযূষের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘পীযূষের বাড়ি এখানেই। পীযূষের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। পীযূষ যে ইসরোতে গবেষণা করেন সেটাও আমরা জানতাম। কাল চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর থেকেই আমাদের গর্ব হচ্ছে যে আমাদের গ্রামও এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল।

Chandrayaan 3 Moon Landing Video : ধীরে ধীরে চাঁদে পা চন্দ্রযান ৩-এর, দেখুন ল্যান্ডিংয়ের রোমহর্ষক ভিডিয়ো
ওনার পড়াশোনার শুরু এই গ্রামেতেই। এখন সময়ের অভাবে বেশি কথা হয়না। আর তাছাড়া বেশ অনেকদিন উনি গ্রামের বাড়িতে আসেননি কাজের চাপে, তাই দেখাও হয়ে ওঠেনি আমাদের মধ্যে। কিন্তু তাই বলে আমাদের মধ্যে কম গর্ব নেই। আমাদের গ্রামের ছেলে এত বড় মিশনের সঙ্গে যুক্ত, এটি বিশাল ব্যাপার’।

Chandrayaan 3 Live : গৌরবের কর্মযজ্ঞে ইসরোয় প্রাণপাত দুই ছেলের, সকাল থেকেই ঠাকুরঘরে বাবা-মা
পীযূষের দাদা এই বিষয়ে বলেন, ‘আমার ভাই অনেক কষ্ট করে গ্রাম থেকে উঠে এই জায়গায় গিয়েছে। তাই আজ আমাদের কাছে খুবই আনন্দের দিন। ভারতীয় হিসেবে আজ ভীষণ গর্ব হচ্ছে। ভাইয়ের সঙ্গে কাল রাতে কথা হয়েছে। আমার ভাই যে এমন একটা ঐতিহাসিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, এটাতে কতটা গর্ব হচ্ছে বলে বোঝাতে পারছি না’।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *