সোনারপুরে লাঙলবেড়িয়া সমবায় সমিতির আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনজন অফিসারকে নিয়োগ করেছে রাজ্যের সমবায় দফতর। গ্রাহকদের যাতে প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে না হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করল রাজ্য সমবায় দফতর।

Rajpur Sonarpur Municipality : পানীয় জলের সংযোগ চালুর আগেই ‘জলকর’ নিয়ে বিতর্ক, শোরগোল রাজপুর সোনারপুর পুরসভায়
কী পদক্ষেপ নেওয়া হল?

গত ২৮ তারিখ এদের নিয়োগ করা হলেও আজই তারা প্রথমবার যান লাঙবেড়িয়া সমবায় সমিতির অফিসে। গ্রাহকরা ১০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় স্পেশাল অফিসার সৌগত চক্রবর্তীর যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। এইসব বিষয় খতিয়ে দেখতেই দুই কো- অপারেটিভ ডেভলাপম্যান্ট অফিসার মহেশ বাসু ও শেখর দাস ও কো অপারেটিভ ইন্সপেক্টর সুদীপ্ত চক্রবর্তী পুরো বিষয় খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন। তারাই পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে এই ব্যাপারে আইনি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

Dakshin 24 Pargana : ৫ বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগ! এক বছর পর গ্রেফতার মা সহ প্রেমিক
গ্রাহকদের অভিযোগ কী?

বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্তরকম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা। লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকাও তাঁরা পাচ্ছেন না বলে দাবি। ব্যাঙ্কে জমানো টাকা তুলতে পারছেন না। এই ঘটনায় একাধিকবার তাঁরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। এমনকি এই ঘটনায় ইডি ও সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ এই সমবায়ের পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সকলেই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

Organic Farming : ভাড়ার জমিতে অর্গ্যানিক ফসল
আর কী জানা যাচ্ছে?

সোনারপুরে লাঙলবেড়িয়া সমবায় সমিতির ৬,৩১৯ জন গ্রাহক টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তাঁদের জমানো টাকা পাচ্ছেন না বলেই দাবি করেছেন গ্রাহকরা। ঋণ দেওয়ার নামে তাঁদের সঞ্চিত অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

ছয় মাস ধরে টাকা বন্ধ

গ্রাহকরা অভিযোগ জানিয়েছেন, ওই সমবায় সমিতির প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক রয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অনেকের টাকা আসে ওই ব্যাঙ্কে। এছাড়াও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও এই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অনেকে পেয়ে থাকেন। সেই সব টাকা তুলতে পারছেন না গ্রাহকরা। ফলত, এই সমবায় ব্যাঙ্কের পেছনে বড়সড় দুর্নীতি কাজ করছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

পুর-নিয়োগ দুর্নীতি! সুজিত ‘প্রস্তুত’! এরপর কার পালা?

গ্রাহকরা আশা দেখছেন?

ওই সমবায় ব্যাঙ্কের এক গ্রাহক সামসুদ্দিন খাঁ জানান, তিনজন অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে আমরা এখনও কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না। যতদিন না পর্যন্ত আমরা গচ্ছিত অর্থ ফেরত পাচ্ছি, ততদিন কোনও ভরসা নেই। ওঁরা যদি সঠিক পদক্ষেপ করেন, তাহলে কিছু সুরাহা হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *