গোপন ডেরা থেকে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘মার্জার এগ্রিমেন্ট অনুযায় রাজবংশী মানুষের আর্থসামাজিক পরিস্থিতির উন্নতি সাধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সরকার স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও কোচবিহার মার্জার এগ্রিমেন্ট ইমপ্লিমেন্ট করেনি। বরঞ্চ দেখা গিয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র গ্রেটার কোচবিহার এবং কামতাপুরকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ভারত সরকার চরম বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা করেছে আমাদের সঙ্গে। ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র আমাদের ওপর অন্যায় অবিচার করছে। বাঙালি যদি বাংলা পেতে পারে, গুজরাতি যদি গুজরাত পেতে পারে, পঞ্জাবিরা যদি পঞ্জাব পেতে পারে, তাহলে কামতাপুরিরা কেন কামতাপুর পাবে না? আমরা কেন কামতাপুরী ভাষার স্বীকৃতি পাব না?’
জীবন সিংহ আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে গেলাম। আমরা মনেপ্রাণে ভারতীয় হতে চাই। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র আমাদের ভারতীয় বলে মনে করে না। আমরা কামতাপুরে ভারতীয় সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কিন্তু ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র চায় না সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমরা অংশ নিতে পারলাম না। গ্রেটার কোচবিহার আমার মাটি, আমার দেশ। এই মাটিতে আমার রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। এটা ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। আমাদের জাতি ধ্বংস করার অধিকার কারও নেই৷ আমরা বীর চিলা রায়ের বংশধর। আমরা কারও কাছে মাথা নত করি না। আমরা অন্যানেয়র বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করব।’
যা বলছে বিজেপি…
এই বিষয়ে বিধায়ক তথা কোচবিহারের বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘যাঁর যাঁর সংগঠন, তাঁরা দাবি জানাতেই পারেন। আমাদের দাবি পরিষ্কার, উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন করতে হবে। উত্তরবঙ্গের মানুষের হাতে কাজ দিতে হবে। জলের ব্যবস্থা করতে হবে, সেচের ব্যবস্থা করতে হবে, স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করতে হবে।’
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘জীবন সিংহ বরাবর বিজেপির মাউথ পিস হয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। আজকেও আবার নতুন করে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফলের পর তাঁকে দিয়ে আলাদ রাজ্যের দাবি তোলানোর চেষ্টা হচ্ছে, এটা আসলে বিজেপি সুকৌশলে নতুন করে আরও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। যতবেশি তারা এই ধরণের কর্মসূচি নেবে, তত বেশি ভরাডুবি হবে। তাই জীবন সিংহ কী বললেন তাই নিয়ে মানুষ চিন্তিত নন।’