Snehasish Chakraborty Has Suggested Guidelines For E Rickshaw Toto Driver


বাস-ট্যাক্সি-অটোর পাশাপাশি মানুষের নিত্য পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে টোটো। ছোট থেকে বড়, সমস্ত শহরের রাস্তাতেই বর্তমানে টোটোর ভিড় চোখে পড়ে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষের রুটিরুজি। তবে অনেক জায়গাতেই আবার অভিযোগ উঠছে, অতিরিক্ত টোটোর কারণে রাস্তায় বাড়ছে যানজট, কখনও কখনও ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনাও। লাগাতার এই ধরণের অভিযোগ পেয়ে এবার টোটোর চলাচলে রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপে রাজ্য প্রশাসনের। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল আটকাতে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। যার ফলে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে টোটোচালকদের মধ্যে। যদিও রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী জানাচ্ছেন, রাজ্য সরকার বেআইনি টোটোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তবে কেউ কর্মহীন হোক, এমনটা সরকারের কখনওই উদ্দেশ্য নয়।

পরিবহণমন্ত্রী স্নেশাহিশ চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্রীয় সরকার পরিবেশবান্ধব গাড়ি হিসেবে ই-রিকশাকে সারা দেশে প্রোমোট করেছে। এদের কাজ গ্রামের ভিতর থেকে মানুষকে প্রধান রাস্তায় পৌঁছে দেওয়া। যেহেতু এগুলি পরিবেশবান্ধব, তাই এদের কোনওরমক রুট পারমিট নিতে হয় না, করও দিতে হয় না। এবার দেখা গেল বিভিন্ন জায়গায়, স্থানীয় লেদ কারখানা বা গ্যারেজে বেআইনিভাবে লোহার সঙ্গে লোহাজুড়ে তাতে চাকা লাগিয়ে অজস্র যানবাহন বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যেগুলিকে এখন টোটো বলা হয়। এবার এরা গিয়ে জোর করে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে ভিড় করছে। যার ফলে বাড়ছে ঝামেলা-অশান্তি, তৈরি হচ্ছে যানজট। আর সেই কারণেই টোটোকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে ভাবা হয়েছে।

Howrah News Today : বেআইনি টোটোয় লাগামছাড়া যানজট, কড়া পদক্ষেপের পথে হাওড়া পুলিশ
দেওয়া হচ্ছে গাইড লাইন
স্নেহাশিসবাবু জানান, এর জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরটিও, ট্রাফিক পুলিশ, স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান বা পঞ্চায়েতের সভাপতি, জন প্রতিনিধি, অটো ইউনিয়ন, টোটো ইউনিয়ন, সবাইকে নিয়ে বসে গাইডলাইন তৈরির করা বলা হয়েছে। তবে এই গাইডলাইন তৈরির বিষয়ে পরিবহণ দফতর থেকেও কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১. প্রথমেই বেআইনি টোটো প্রস্তুতিকরণ বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বেআইনিভাবে টোটো প্রস্তুতকারী গ্যারেজ বা কারখাবনার বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আর যদি কেউ টোটো তৈরির কাজই করতে চান, তাহলে তাঁকে বৈধভাবে অনুমতি নিতে হবে।
২. টোটো চালকদের নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দেওয়া হবে।
৩. একজন ব্যক্তির একটাই টোটো থাকবে।
৪. আদালতের নির্দেশে রাজ্য বা জাতীয় সড়কে তিনচাকার যান চলাচল নিষিদ্ধি, তাই টোটোগুলিকে স্থানীয় রাস্তায় (পকেট রুট বা গলি) চালাতে হবে। অর্থাৎ জাতীয় বা রাজ্য সড়কে চালান যাবে না।
৫. চালক যে পুরসভা বা পঞ্চায়েত এলাকায় টোটো চালাবেন, তাঁকে সেখানকারই বাসিন্দা হতে হবে। যদি কোনও কারণে যাত্রী রিজার্ভ করে অন্যত্র নিয়ে যান, তাহলে পৌঁছে দিয়েই ফিরে যেতে হবে নিজের এলাকায়। অথবা সেই সময় যদি এমন কোনও যাত্রী পান, যিনি তাঁরই এলাকায় যাবেন, তাহলে তাঁকে নিয়ে নিজের এলাকায় ফিরে যেতে হবে। অর্থাৎ অন্য এলাকায় গিয়ে চালান যাবে না।
৬. যে এলাকায় যত টোটোচালক আছে, তারা প্রত্যেকে ভাগ করে নিয়ে একবেলা করে টোটো চালাবেন।

Toto E Rickshaw : টোটো দেখলেই আটক! দৌরাত্ম্য বন্ধে তৎপর পুলিশ-পরিবহণ দফতর
এক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে একবেলা করে চালালে তো টোটোচালকদের আয় কমে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে কী হবে? যদিও স্নেহাশিসবাবুর যুক্ত, এতে রোজগার কমবে না, বরং যে পরিমানে বেআইনিভাবে টোটো দিনদিন বাড়ছে, তাতে চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি হয়ে যাওয়ায়, আগামীদিনে টোটোচালকদের রোজগার কমে যেতে পারে। তাই বেআইনি টোটোকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলেই মনে করেন তিনি। এচাড়া চালকরা যে সময় টোটো চালাবেন না, সেই সময় অন্য কোনও পেশার সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারবেন। ফলে সেখান থেকেও রোজগার হবে বলে মনে করছেন পরিবহণমন্ত্রী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *