বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর বাজার থেকে তিন বান্ধবীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রওনা দেয় তিন যুবক। এ দিকে সন্ধ্যা নেমে এলে তিন কন্যা বাড়ি না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তিন নাবালিকার উধাও হওয়ার ঘটনা গ্রামে রটে যাওয়ায় কয়েকজন গ্রামে পাকা বাড়ি তৈরি করতে আসা রাজমিস্ত্রিদের ঠিকানায় যান।
সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, ১১ জন রাজমিস্ত্রির মধ্যে তিনজন উধাও। তাঁরা কোথায় গিয়েছে, সদুত্তর দিতে না পারায় বাকি আটজনকে স্থানীয় ক্লাবঘরে নিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে। রাজমিস্ত্রিদের ফোন বন্ধ থাকায় তাঁদের লোকেশন জানতে সমস্যা হয়।
হঠাৎ এক জন ফোন চালু করলে পুলিশ টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁদের গতিবিধি জানতে পারে। সেখানে হানা দিয়েই ভোররাতে তিনকন্যাকে উদ্ধারের পাশাপাশি দু’জন রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত শেখ নাজিমুদ্দিন ও শেখ শরিফুল বিবাহিত। পলাতক শেখ আরিফুল অবিবাহিত। সকলের বয়স তেইশ থেকে পঁচিশের মধ্যে। বৃহস্পতিবার স্কুলে যায় তিন বান্ধবী। সেখানেই তারা তৈরি করে বাড়ি থেকে পালানোর ছক।
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আসে তিন বান্ধবী। তারপর প্রেমের টানেই একসঙ্গে বাড়ি থেকে বিকেলে বেরিয়ে যায় তিনকন্যা। রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে বাজারে গিয়ে কথা বলে সকলে চম্পট দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বান্ধবীর বাড়ি গোপীবল্লভপুর থানা এলাকায়। তিন কন্যায় দশম শ্রেণিতে পড়ে। একে অপরের সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিন বান্ধবী এক সঙ্গে পায়ে হেঁটে স্কুলে যেত। ওই এলাকায় পাকা বাড়ি তৈরির জন্য হাওড়া ও আশপাশ থেকে ১১ জন রাজমিস্ত্রি একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়া-আসার পথে তিন বান্ধবীর সঙ্গে পরিচয় হয় তিন যুবকের।