আদালতের নির্দেশে এসএসসি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলও জমা দিয়েছে। রায় বেরোনোর অপেক্ষা। এই অবস্থায় পুরোদস্তুর বদলি শুরু হলে দাড়িভিটের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ, স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়তো দেখবেন, যে পদে তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, সেই স্কুলে সংশ্লিষ্ট বিষয়, ক্যাটিগরি এবং পোস্টে শূন্যপদই নেই! তাই বদলি চালু করতে নারাজ বিকাশ ভবন। পর্ষদ ও কমিশন সূত্রে খবর, তারা আদালতের নির্দেশিকা পেলে তবেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বদলি কার্যকরী করছে। অন্য দিকে বিভিন্ন শিক্ষক সমিতির দাবি, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বদলি বন্ধ থাকায় রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী সমস্যায় পড়েছেন।
অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, ‘প্রশাসনিক কোনও সমস্যা না থাকায় মিউচুয়াল ট্রান্সফার অবিলম্বে চালু করুক স্কুলশিক্ষা দপ্তর। উৎসশ্রী পোর্টাল চালু সম্ভব না হলে আপস বদলিতে পৃথক পোর্টাল চালু করা হোক। যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিষয় ও পদ মিলিয়ে আপস বদলি নিতে পারেন।’ সংগঠনের তরফে কমিশনের সচিব, চেয়ারপার্সন এবং স্কুলশিক্ষা কমিশনারকে আপস বদলি ও পোর্টাল চালুর জন্যে দাবিপত্রও দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির (এসটিইএ) তরফে অনিমেষ হালদারের দাবি, আদালতের নির্দেশে নয়, ‘জেনারেল নোটিস দিয়েই সার্বিক ভাবে আপস বদলি চালু করুক স্কুল শিক্ষা দপ্তর।’ এরই মধ্যে ‘শিক্ষা ও শিক্ষক স্বার্থবিরোধী’ বদলির ১০সি ধারা বাতিলের দাবিতে শনিবার এসটিইএ কলকাতার স্টুডেন্টস হলে কর্মশালার আয়োজন করেছিল। সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ জানান, সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে মামলায় ৯ অক্টোবর পরবর্তী শুনানিতে চাকরির শর্ত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি সমিতির পক্ষে সওয়াল করবেন। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে সমিতির এসএলপি গৃহীত হয়েছে।