এই সময়: পাঁচ বছরও চাকরি হয়নি এমন কয়েক জন স্কুল-শিক্ষকের আবেদনে অফলাইন ব্যবস্থায় বদলির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। অগস্টের শেষে সেই নির্দেশের পর ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর-সহ নানা জেলার বহু শিক্ষকের সাধারণ ও আপস বদলির আবেদন কার্যকরী করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষক সমিতিও নতুন করে পুরোদস্তুর বদলি প্রক্রিয়া চালুর জন্যে স্কুলশিক্ষা দপ্তর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপরে চাপ বাড়িয়েছে। যদিও বিকাশভবনের কর্তাদের বক্তব্য, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই উচ্চপ্রাথমিকে সাত বছর ধরে থমকে থাকা নিয়োগ মামলার শুনানি চলছে।

North 24 Parganas News : স্কুলে শিক্ষকের বদলি! ‘প্রিয় স্যার’কে জড়িয়ে কান্না পড়ুয়াদের, আবেগতাড়িত অভিভাবকরাও
আদালতের নির্দেশে এসএসসি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলও জমা দিয়েছে। রায় বেরোনোর অপেক্ষা। এই অবস্থায় পুরোদস্তুর বদলি শুরু হলে দাড়িভিটের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ, স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হয়তো দেখবেন, যে পদে তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, সেই স্কুলে সংশ্লিষ্ট বিষয়, ক্যাটিগরি এবং পোস্টে শূন্যপদই নেই! তাই বদলি চালু করতে নারাজ বিকাশ ভবন। পর্ষদ ও কমিশন সূত্রে খবর, তারা আদালতের নির্দেশিকা পেলে তবেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বদলি কার্যকরী করছে। অন্য দিকে বিভিন্ন শিক্ষক সমিতির দাবি, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বদলি বন্ধ থাকায় রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী সমস্যায় পড়েছেন।

Teachers Transfer : কলেজেও বদলি, পড়ুয়া-শিক্ষক হারের সার্ভে উচ্চশিক্ষা সংসদের
অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, ‘প্রশাসনিক কোনও সমস্যা না থাকায় মিউচুয়াল ট্রান্সফার অবিলম্বে চালু করুক স্কুলশিক্ষা দপ্তর। উৎসশ্রী পোর্টাল চালু সম্ভব না হলে আপস বদলিতে পৃথক পোর্টাল চালু করা হোক। যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিষয় ও পদ মিলিয়ে আপস বদলি নিতে পারেন।’ সংগঠনের তরফে কমিশনের সচিব, চেয়ারপার্সন এবং স্কুলশিক্ষা কমিশনারকে আপস বদলি ও পোর্টাল চালুর জন্যে দাবিপত্রও দেওয়া হয়েছে।

Calcutta High Court News : নিয়োগ আইনে বিধান নেই, জনস্বার্থের কারণে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে বদলিতে সায় কলকাতা হাইকোর্টের
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির (এসটিইএ) তরফে অনিমেষ হালদারের দাবি, আদালতের নির্দেশে নয়, ‘জেনারেল নোটিস দিয়েই সার্বিক ভাবে আপস বদলি চালু করুক স্কুল শিক্ষা দপ্তর।’ এরই মধ্যে ‘শিক্ষা ও শিক্ষক স্বার্থবিরোধী’ বদলির ১০সি ধারা বাতিলের দাবিতে শনিবার এসটিইএ কলকাতার স্টুডেন্টস হলে কর্মশালার আয়োজন করেছিল। সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ জানান, সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে মামলায় ৯ অক্টোবর পরবর্তী শুনানিতে চাকরির শর্ত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতগি সমিতির পক্ষে সওয়াল করবেন। সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যে সমিতির এসএলপি গৃহীত হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version