এদিন ডুয়ার্সের গোরুমারা জাতীয় উদ্যান ছাড়াও ধুপঝোরা, মেদলা ক্যাম্প, গরাতি ক্যাম্প, টন্ডু ক্যাম্পে থাকা মোট ২৯টি কুনকি হাতিকে পুজো করা হয়। এ দিন পুজোর আগে যখন কুনকি হাতিদের সাজানো হচ্ছিল, সেই সময়ে সেখানে পৌঁছন পশু চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডল ও তাঁর সহকর্মীরা। অনেকে তার কাছে ঘেঁষে সেলফি তোলেন।
প্রাণী চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডল কিরণরাজকে আদর করতে গেলে আচমকা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। তেড়ে আসে। শুঁড় দিয়ে ধাক্কা মারলে মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান তিনি। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান। এরপরেই পুজো না দিয়ে শাস্তি হিসেবে কিরণরাজকে নিয়ে যাওয়া হয় পিলখানায়। সেখানে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় তাকে।
হাতিপুজোর প্রস্তুতির মধ্যে এই ঘটনায় হতবাক উপস্থিত বনকর্মী ও পর্যটকরা। তড়িঘড়ি বরফ এনে পশু চিকিৎসকের থুতনিতে লাগানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বনকর্তারা। যদিও ধুপঝোরার এক বনকর্মী বলেন, ‘আমরা কাজ করছিলাম। আচমকা কিরণরাজ নামে কুনকি হাতিটি আমাদের পশু চিকিৎসককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তাঁর মুখে এবং থুতনিতে আঘাত লেগেছে। বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।’
এ বিষয়ে পশু চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডলকে ফোন করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ধুপঝোরারা বিট অফিসার সুনীলচন্দ্র বারুই -এর সাফাই, ‘এই সময়ে হাতিরা একটু মত্ত থাকে। সেই কারণেই শুঁড় দিয়ে সামান্য ধাক্কা দিয়েছে। তবে বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। সেরকম আঘাত লাগেনি।’