জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ডেবরা-পটাশপুর রাজ্য সড়কের পিংলা-সবং সীমান্তে ১২ মাইল এলাকায় একটি চারচাকা গাড়ির সঙ্গে একটি মোটর সাইকেলের সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। চার চাকা গাড়িটি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-১ ব্লকের বিডিও-র অফিশিয়াল গাড়ি। গাড়িতে বিডিও যাচ্ছিলেন। গাড়ির চালককে আটক করা হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে ডেবরার দিক থেকে পটাশপুরের দিকে একটি কালো স্করপিও গাড়িতে যাচ্ছিলেন পটাশপুর-১ ব্লকের বিডিও বিধানচন্দ্র বিশ্বাস। উলটো দিক থেকে একটি বাইকে আসছিলেন দু’জন আরোহী। পিংলা থানার শেষ সীমানায় ১২ মাইল এলাকায় বাইকটির সঙ্গে স্করপিও-র মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছিটকে পড়েন মোটর সাইকেলে থাকা দু’জন। স্থানীয়রা দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা রিন্টু মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পটাশপুর-১ ব্লকের বিডিও বিধানচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘দুয়ারে সরকার চলছিল বলে বাড়ি যাওয়া হয়নি। শনিবার রাতে বাড়ি গিয়েছিলাম। রবিবার থেকে যাই। সোমবার সকালে পটাশপুরে ফিরছিলাম। গাড়ির সামনেই বসেছিলাম। সবং তেমাথানির আগে ১২ মাইলে আমার গাড়ির চালক হঠাৎ জোরে ব্রেক কষেন। কিন্তু সামনে থেকে একটি মোটর সাইকেল এসে গাড়ির সামনে জোরে ধাক্কা মারে। আমার পকেট থেকে মোবাইলটা ছিটকে পড়ে। কোনও রকমে নিজেকে সামলাই। ততক্ষণে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। আমাকে নিয়ে গিয়ে একটি চায়ের দোকানে বসানো হয়। বাইকে থাকা দু’জনের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। হেলমেট থাকলে হয়তো ওই ব্যক্তির এই পরিণতি হতো না। এমন মর্মান্তিক ঘটনা প্রথম চোখের সামনে দেখলাম। খুবই খারাপ লাগছে। তবে স্থানীয় লোকজন খুব হেল্প করেছেন।’