Supreme Court To Constituted Search Committee For Permanent Vice Chancellor Appointment


পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (বারাসত) শুক্রবার কলা, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান শাখায় ছ’মাসের ডিন নিয়োগ করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য রাজকুমার কোঠারি। মাঝখানে একটি কাজের দিন পেরোতে না পেরোতেই সোমবার সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, শুধু বারাসত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। অন্য অস্থায়ী উপাচার্যরাও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিনান্স অফিসার সহ নানা পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও পিছু হটছেন।

নেপথ্যে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটি গঠনে দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ বলেই মত শিক্ষামহলের। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর কি অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাহলে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছেন? রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়েটিং রেজিস্ট্রার এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, অধ্যাপক অরুণ কুমার হোতাকে কলা ও বাণিজ্য শাখা এবং নারায়ণ ঘোড়ুইকে বিজ্ঞানের ডিন নিযুক্ত করেছেন খোদ উপাচার্য।

CV Ananda Bose : রাজভবনের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ধন্দে উপাচার্যরাই, টিচার্স সিলেকশন কমিটিতে প্রশ্ন
ছ’মাস বা পুনরায় নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা এই দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু দেখা গিয়েছে, শনি ও রবিবার ছুটির পরে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খুলতেই তদারকি রেজিস্ট্রার পুনরায় এক বিজ্ঞপ্তিতে সেই নির্দেশিকা অনিবার্য কারণবশতঃ বাতিলের কথা ঘোষণা করেছেন। যার প্রেক্ষিতে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবারই দুপুরে ডিন নিয়োগ ও বাতিলের বিষয়টি আলোচনার জন্য জরুরী বৈঠক ডেকে দিয়েছে। সেখানে উপাচার্যর এই খামখেয়ালিপনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।

অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই রাজ্যপাল-আচার্য সিভি আনন্দ বোস এককভাবে রাজকুমার কোঠারিকে প্রথমে সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনীত করেছিলেন। পরে তাঁকেই বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়েরও অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বাড়তি দায়িত্ব দেন। যা নিয়েও প্রশ্ন কম ছিল না। কারণ, বারাসতে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ামক এবং কলেজ পরিদর্শক পদে স্থায়ী কোনও আধিকারিক নেই। আবার সহ উপাচার্য পদও ফাঁকা।

VC Recruitment : সুপ্রিম হস্তক্ষেপে আপাত স্বস্তি, তবু ভিসি নিয়োগে অনেক ধন্দ
এই অবস্থায় কোঠারি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই শিক্ষক-শিক্ষিকারা অস্থায়ী উপাচার্যের কাছে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল ও অস্থায়ী ডিন নিয়োগের আর্জি জানান। সেই দাবি মেনে ও পরিস্থিতি সামাল দিতে অস্থায়ী ডিন নিয়োগ করা হয়েছিল। রাজকুমার সোমবার বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট স্থায়ী ডিন নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনে উদ্যোগ নিয়েছে। সে জন্য ডিন নিয়োগের বিষয়টি স্থগিত রাখা হলো।’

কিন্তু, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো অস্থায়ী ডিনেরা রয়েছেন? রাজকুমারের মন্তব্য, ‘ওই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগেই স্থায়ী ডিন ছিল। তাঁদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অস্থায়ী ডিনেরা নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু বারাসতে কোনও দিন ডিনই ছিলেন না।’ যদিও রাজকুমারের ঘনিষ্ঠ মহলের ব্যাখ্যা, অস্থায়ী ডিন নিয়োগ করতে হলেও উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে ডিন বাছাইয়ের কমিটি গঠনের আর্জি জানাতে হতো।

Bratya Basu : কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের ৫ উপাচার্য, ‘ক্রীতদাস’কটাক্ষ ব্রাত্যর
রাজ্য-রাজভবনের টানাপড়েনে সেটা তাঁর পক্ষে অসুবিধাজনক। অস্থায়ী ডিন নিয়োগে কর্মসমিতির(ইসি) অনুমোদনও প্রয়োজন। যদিও এর পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ শাসকের রাজনীতিই দেখছেন। তা না হলে দু’দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত বদলের কোনও কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। তবে শাসক ঘনিষ্ঠ দি এডুকেশনিষ্ট’ ফোরামের এক সদস্য জানান, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ফিনান্স অফিসার নিয়োগেরও উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পরে তারাও পিছু হটেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *