আগামী ৪ অক্টোবর CBI ডিরেক্টর প্রবীণ কুমার সুদকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে CBIয়ের ত্রুটি এবং গা ছাড়া মনোভাব ও কিছু অফিসারের ভূমিকা নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব CBI অধিকর্তাকে দিতে হবে আদালতে। একইসঙ্গে তদন্তের গাফিলতির অভিযোগে CBIয়ের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাঁকে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার দায়িত্বে থাকা তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট জমা দেবেন প্রবীণ সুদ।
এদিন CBI তদন্তকারী অফিসারদের উপর ক্ষোভ উগরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘CBI আদালতের সঙ্গে মনে হচ্ছে খেলা করছে। তারা দুর্নীতির পর্দাফাঁস করার লক্ষ্যে তদন্ত করছে না। এখন যা অবস্থা এই মামলায় আর কোনও আধিকারিকের প্রয়োজন নেই। এবার এই মামলায় প্রধানমন্ত্রীকে প্রয়োজন। CBIয়ের আধিকারিকরা বোকা এটা আমি মানি না। তারা আসলে সেয়ানা। আগে লোকে CBIয়ের নাম শুনলে ভয় পেত। এখন হাসে। নির্দেশের এক বছর পরেও দুর্নীতির মুখোশ খুলতে CBI কোন পদক্ষেপ নেয়নি । মনে হয় এবার সময় এসেছে CBI ডিরেক্টররের রিপোর্ট দেওয়ার।’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করা নিয়েও CBI আধিকারিকদের প্রবল ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী অভিযুক্তের সঙ্গে CBI আধিকারিকদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন। এদিন CBI আধিকারিকদের সঙ্গে উলুবেড়িয়া থানার তুলনাও টানেন।
চূড়ান্ত সমালোচিত হওয়ার পর এদিন আদালতে কেস ডাইরি জমা দেয় CBI। প্রাথমিক নিয়োগে ওএমআর শিট দুর্নীতি মামলায় এস বসু রায় কোম্পানির ভূমিকা জানতে ওই কোম্পানির দুজনকে আজই জিজ্ঞাসাবাদ করে CBI। আদালতে এসে সেই জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে জানান CBI আধিকারিক। একই সঙ্গে শান্তনু শিট মামলায় জমা পড়ল নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় কেস ডাইরি। আটটি ফাইল দেখে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘এর মধ্যে থেকে বিশল্যকরণী খুঁজে নেব।’