মন্দির ও মসজিদের মাঝে ব্যবধান মাত্র ১০ ফুট। দুর্গোৎসব, ঈদ, মহরমে এই মন্দির আর মসজিদ ঘিরেই জমে ওঠে মেলা। মন্দির মসজিদের এমন সহাবস্থান দেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জায়গার নাম দিয়েছিলেন সম্প্রীতি নগর। দীঘা থেকে দু’টি বাসস্টপ আগে প্রায় তিন একর জায়গার উপর গড়ে উঠেছে সেই পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় ৩ কোটি টাকা বাজেটে গড়ে উঠছে সম্প্রীতি নগর। একদিকে জাগরণ সংঘের পুজো ৮০ তম বছরে পদার্পণ করেছে, অন্যদিকে অবস্থিত মসজিদটির বয়স ১০০ বছর ছাড়িয়েছে।
জাগরণ সংঘের সম্পাদক তথা দেজ পাবলিকেশন এর কর্ণধার সুধাংশুশেখর দে-র উদ্যোগে সম্প্রীতি নগর নবরূপে সেজে উঠছে। সম্প্রীতি নগরে একদিকে চলছে মসজিদ তৈরির কাজ, অন্যদিকে চলছে মন্দির তৈরির কাজ। ঠিকরা মোড়েই হবে সম্প্রীতি নগর লেখা বিশেষ তোরণ। ঠিকরা কাবরা, হিরাপুর, তালগাছারি, বাগমারী, শিমুলিয়া, পায়া কাঁটাবনী, গোবরা আকনা, বিরামপুর-সহ ১৫ থেকে ২০ টি গ্রামের মানুষ সারা বছর এই মন্দির ও মসজিদ ঘিরে উৎসবে মেতে থাকেন। প্রাচীন দুর্গা মন্দির ভেঙে ৮৫ ফুটের নয়া স্থায়ী মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। পূর্ব মেদিনীপুরে এক বিরল সম্প্রীতির দৃশ্য দেখা যায় এখানে।
এই বিষয়ে দাগরণ সংঘের সহসম্পাদক সত্যরঞ্জন দত্ত বলেন, ‘২০১৬ সালে মুখ্য়মন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুরে সফর করাকালীন তাঁর সামনে এই জায়গার কথা উঠে আসে। সেই সময় আমাদের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন আমাদের এখানে মন্দির ও মসজিদ পাশাপাশি আছে। দুই ধর্মের অনুষ্ঠানই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়। সেই শুনে পরেরদিনই মুখ্যমন্ত্রী পর্যটনমন্ত্রীকে পাঠান। তিনি এই জায়গা ঘুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেন। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী এই জায়গার নাম দেন সম্প্রীতি নগর।’ এছাড়াও এই জায়গার পাশে রয়েছে চণ্ডী মন্দির, যা প্রায় দেড়শ বছর পুরনো। দেশের যে ঐতিহ্যবাহী সম্প্রতী তা এই জায়গায় রক্ষা করার চেষ্টা করা হয় বলেই জানান সত্যরঞ্জনবাবু।
