পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বায়োমেট্রিক প্রতারণা করে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮ হাজার ৯০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়। প্রতারাণার জন্য আধার এনাবেলড পেমেন্ট সিস্টেম বা এইপিএস পদ্ধতির ব্যবহার করা হয়। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোনওভাবে ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক ও আধার কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করেছিল প্রতারকরা। সেখান থেকে বায়োমেট্রিক ক্লোন করে এই প্রতারণা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুষারকান্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন সার্জেন্ট সৃজন বিশ্বাস। তদন্তে নেমে সাম্প্রতিক এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা বুঝতে পারেন একটি গোটা চক্র এই ধরনের প্রতারণার পিছনে রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ও বিহারের আরারিয়া থেকে চলছে যাবতীয় অপারেশন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ভৌগলিকভাবে দুটি এলাকা নিকটবর্তী হওয়ায় তদন্তকারীদের আরও সন্দেহ হয়।
গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারীরা সেখানে ওই দুটি জায়গায় অভিযান চালায়। এবং সেখান থেকে ইদ্রিস ও রোশনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে ইদ্রিসই এই প্রতারণাচক্রের মূল পাণ্ডা। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন অভিযুক্তরা এই ধরনের প্রতারণার ছ’টি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকদের নথি সংগ্রহ করত তারা। ধৃতদের আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রাজ্যে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বায়োমেট্রিক ক্লোন করে একের পর এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। m-Aadhaar অ্যাপ থেকে বায়োমেট্রিক লক করে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
ব্রেকিং নিউড হোক বা খেলা, দিনের গুরুত্বপূর্ণ খবর এক নজরে দেখে নিতে জয়েন করুন এই সময় ডিজিটালের চ্যানেলে। রইল লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A