Supreme Court : ভিসি পদে প্রাক্তন আইপিএস, ফের প্রশ্নে রাজ্যপাল – supreme court submitted the names proposed by the representatives of state government


এই সময়: রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গড়তে রাজ্য সরকার, আচার্য-রাজ্যপাল এবং ইউজিসির প্রতিনিধিদের প্রস্তাবিত নাম জমা নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দু’পক্ষের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে কোনও বিরোধ যে আদালত চায় না এবং স্থায়ী উপাচার্য বসানোই যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়াশোনা ও প্রশাসনিক কাজের জন্য ভালো–তাও বুঝিয়ে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রবিবার ফের রাজ্যের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন আচার্য-রাজ্যপাল বোস। তারমধ্যে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএম রবীন্দ্রন নামে এক প্রাক্তন আইপিএসকে ভারপ্রাপ্ত ভিসি করা হয়েছে। আলিয়ার পরে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি পদে একজন প্রাক্তন পুলিশকর্তাকে বসানো এবং আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন ফের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বোসকে স্বাভাবিকভাবেই নিশানা করেছে রাজ্যের শাসক দল।

Supreme Court Of India : ভিসির খোঁজে প্রতিনিধি দেবে সুপ্রিম কোর্টও
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রবিবার দিল্লি যাওয়ার আগে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’ রবীন্দ্রন ছাড়া যাঁদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী ভিসি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন–আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অচিন্ত্য সাহা, মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবি পারিদা, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিখিলচন্দ্র রায়, বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিলীপ মাইতি।

এঁদের কেউ কেউ কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্যের শাসক দল ও তাদের অনুগামী শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। এরমধ্যে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ছিলেন। সেই হিসাবে শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ভারপ্রাপ্ত ভিসি পদে সাড়ে চারমাসে তিনবার বদল হলো। রাজ্যের শিক্ষামহলের একাংশের মতে, যা রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় বেনজির ঘটনা।

Bratya Basu CV Ananda Bose : ‘সাংবিধানিক সহকর্মী’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বার্তা আচার্যের
এর শুরুটা হয়েছিল, রাজ্যের প্রস্তাব মতো ওমপ্রকাশ মিশ্রের পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজের মধ্যে দিয়ে। এনিয়ে বিস্তর টানাপড়েন হয়েছে। রাজভবন একসময়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়ার বার্তা দিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। আবার ওমপ্রকাশও পাল্টা আচার্য-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানির নোটিস দিয়েছেন।

এদিন যাঁদের ভিসির অন্তর্বর্তী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সিএম রবীন্দ্রনকে নিয়েই বিতর্ক সবচেয়ে বেশি। ১৯৭৭ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার সিকিমের ডিজিপি, নেপালের কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন।

VC Of State University : সার্চ কমিটিতে ২ বিতর্কিত, তির রাজভবনকে
তাঁকে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে ব্রাত্যর কটাক্ষ, ‘রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টকেও যদি মানতে না চান, সেটা তাঁর অভিরুচি। বিষয়টি কোর্টের বিচারাধীন। এই নিয়োগ আদৌ আইনসঙ্গত কি না, সে প্রশ্ন আদালতের সামনে তুলে ধরা হবে।’ ওমপ্রকাশ এদিনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন, ‘আচার্য সুপ্রিম কোর্টের রায় মানছেন না। উনি যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করছেন, তা বেআইনি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *