কী জানা যাচ্ছে?
পারুইয়ের পর এবার বীরভূমের নলহাটি থানার কলিঠা গ্রামে একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের জানালা ভেঙে ব্যাঙ্কের ভেতরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসন্দারা ব্যাঙ্কের জানালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাঁরা খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নলহাটি থানার পুলিশ।
পুলিশ কী জানাচ্ছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ ছুটি থাকায় ব্যাঙ্ক বন্ধ রয়েছে। ব্যাঙ্কের ভেতরে কোনও কর্মী ছিলেন না। পুলিশ মোবাইলে যোগাযোগ করে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে ডাকে। এরপর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকে পুলিশ। বেশ কয়েকটি আলমারি খোলা ছিল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল কিছু কাগজপত্র। খোলা হয়েছে ক্যাশিয়ারের ড্রয়ার। তবে ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।
তল্লাশি শুরু
ব্যাঙ্কের সিসিটিভি দেখে পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে দুষ্কৃতিদের ফেলে যাওয়া দুটি শাবল। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা কী জানালেন?
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, নলহাটি থানার কলিঠা গ্রামে পঞ্চায়েত অফিসের কাছে একতলায় ব্যাঙ্কটি অবস্থিত। ব্যাঙ্কের জানলা ভেঙে ঘরে ঢোকে ডাকাত দল। শাবল, লোহার রড-সহ ভল্ট কাটার সরঞ্জাম ভেতরে পড়েছিল। ভল্ট ভাঙার চেষ্টা হলেও ব্যর্থ হয় তাঁরা। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় তাঁরা।
দুদিন আগেই ডাকাতি
গত ১১ অক্টোবর রাতে বীরভূমের পাড়ুই থানার এলাকার মঙ্গলডিহি গ্রামের ইউকো ব্যাঙ্কের একটি শাখায় ব্যাঙ্ক চুরির ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে দেওয়াল কেটে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। পরের দিন সকালে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা দেওয়ালের গর্তটি লক্ষ্য করেন। খবর দেওয়া হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের। এরপরেই ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা ছুটে এসে দেখেন চুরির ঘটনা ঘটেছে তাঁদের ব্যাঙ্কে। চিন্তায় পড়ে যান ব্যাঙ্কের গ্রাহকরাও। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। একই সপ্তাহের মধ্যে দুই বার ব্যাঙ্ক ডাকাতির সঙ্গে একটি দুষ্কৃতী চক্র জড়িত কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
খবর পড়ুন এবার হোয়াটসআপ-এ? রইল এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল, ক্লিক করুন এখানে