বাকিবুরের সম্পত্তির তালিকা
রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সন্দেহে ১১ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার বাকিবুর রহমানের কৈখালির ফ্ল্যাটে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। প্রায় ৫৪ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি শেষে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথির ভিত্তিতে তাঁকে আটক করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পরে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরকে।
ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর রহমানের পরিচিতি মূলত চালকল ও গমকলের মালিক হিসেবে। কিন্তু এখন জানা গিয়েছে কলকাতায় একটি পানশালা, এয়ারপোর্টের কাছে চিনার পার্কে একটি হোটেল এবং সেই বিল্ডিংয়ে প্রতিটি কোম্পানির মালিক বাকিবুর। সব মিলিয়ে মোট ১৩টি। এছাড়া বেঙ্গালুরুতেও রয়েছে এই ব্যবসায়ীর হোটেল চেন। জানা গিয়েছে, দুবাইতেও নাকি রয়েছে হোটেল। এছাড়া দেগঙ্গায় একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালেরও মালিক তিনি।
এছাড়া কল্যাণীতে বাকিবুরের যে বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল তা প্যালেসের থেকে কম নয়। গ্যারাজে পোর্শে, বিএমডব্লুউ, জাগুয়ারের মতো প্রথম সারির একাধিক বিলাস বহুল গাড়ি। এছাড়া তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিলাসবহুল জীবনযাপনেও উঠছে প্রশ্ন। সামান্য চালকল ও গমকলের মালিক থেকে এত কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ও বিনিয়োগের উৎস কী তাই জানতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

হোয়াটস অ্যাপে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল
অভিযোগ
গত কয়েক বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে উত্থান বাকিবুর রহমানের। জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়, অগুনতি রাইস মিল ও গম মিল। একাধিক জায়গায় বাড়ি ফ্ল্যাট,একাধিক গাড়ি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল, দেশের সীমানা পেরিয়ে দুবাইতেও হোটেল ব্যবসা। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, খাদ্যমন্ত্রীর আমলে বাকিবুর রহমানের উত্থান। পরবর্তী প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বনমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর, বাকিবুরের ঘনিষ্ঠদের বনদফতরের সঙ্গে কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠে আসে। এই বাকিবুর রহমান উত্তর ২৪ পরগনা দেগঙ্গা ব্লকের কাউকে পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন একসময়। বিরোধীদের অভিযোগ, একসময় জোনের কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার উত্থান শুরু হয়। বাকিবুর ইডির নজরে আসতেই বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন।