দিঘায় প্রমোদতরী নামানোর সিদ্ধান্ত আগেই
গোয়ার মতো দীঘার সমুদ্রেও নামতে চলেছে সুসজ্জিত প্রমোদতরী। পর্যটকদের কাছে যা একটি নতুন আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে এই প্রমোদতরীটি হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা তুলে দিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার হাতে। দিঘার পর্যটন মানচিত্রের মুকুটে এই নয়া পালক জোড়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি পর্যটকরা। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকরা সমুদ্র বক্ষে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। একইসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। প্রমোদতরীতে চেপে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখারও সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
প্রমোদতরী আমোদ-প্রমোদের বন্দোবস্ত
চম্পা নদী ক্যানেল থেকে দিঘা মোহনা হয়ে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার শৌলা পর্যন্ত এই প্রমোদতরী চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের। ভ্রমণপ্রেমীরা এতে দিঘার প্রতি আরও বেশি করে আকৃষ্ট হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রমোদতরীতে পর্যটকদের জন্য থাকবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। একইসঙ্গে আমোদ-প্রমোদের জন্য থাকবে গান-বাজনার বন্দোবস্ত। নায়েকালি ব্রিজ সংলগ্ন চম্পা নদী ক্যানেলে নবমীর দিন ট্রায়াল রান হয় এই প্রমোদতরীর। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক আগেই এই ট্রায়াল রানের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
কোন এলাকার ঘুরেব এই ক্রুজ
এতদিন ধরে দিঘার সমুদ্র পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ ছিল। পর্যটকরা সৈকত থেকেই সমুদ্রের রূপ উপভোগ করেছেন। এবার প্রমোদতরীতে চেপে সমুদ্রযাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। সমুদ্রের তির বরাবর দিঘা থেকে শৌলা পর্যন্ত রয়েছে দীর্ঘ ২৯ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভ। মাঝখানে রয়েছে ঝাউবন। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব এবং মনোরম পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভেসে চলবেন পর্যটকরা। ইতিপূর্বে কলকাতায় গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরী নামতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরী এই প্রথম।
দিঘা ভিড়ে ভিড়
অন্যদিকে পুজোর খরা কাটিয়ে পুরনো ছন্দে দিঘা। দশমী থেকে দিঘায় সমুদ্রে পর্যটকদের থিকথিকে ভিড়। ট্রেন, বাসের পাশাপাশি দু’চাকার গাড়ি নিয়ে দিঘার দিকে রওনা দিয়েছে পর্যটকরা। মঙ্গলবার দিঘার সমুদ্রে পর্যটকদের ভিড় ছবি দেখে মুখে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের।