কী জানা যাচ্ছে?
সাম্প্রতিক ঘটনার সূত্রপাত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ার পরবর্তী কালে ফলক লাগানো নিয়ে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মাঝেই রবিবার বিকেলে কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

কী লিখলেন উপাচার্য?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দিয়ে পুনরায় উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তাটি ফেরত চাওয়া হয়। পাশাপাশি নজিরবিহীন ভাবে লেখা হয়,’আপনার দুই সিনিয়র মন্ত্রী জেলে আছেন। আপনার বিশ্বস্ত সহযোগীরা তিহাড় জেলে বন্দি। আপনার সরকারের নিয়োগ করা উপাচার্য জেলে রয়েছেন।’ চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন।’ এখানেই শেষ নয়, চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয় আপনাদের তৃণমূল সরকারের অনেক প্রতিনিধি কয়লা, গোরু ও রেশন চোরাচালান কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত হয়ে রয়েছে। ফলক বিতর্ক নিয়ে আন্দোলন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবেই চিঠি দিয়ে বেনজির আক্রমণ করলেন উপাচার্য।
রাস্তা ফেরত চেয়ে চিঠি
উল্লেখ্য, গত মাসের মাঝামাঝি ইউনেস্কো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বলে ঘোষণা করে। এরপরেই রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের কাছে থেকে উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা বিশ্বভারতীকে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একবার চিঠি লিখেছিলেন উপাচার্য। রাস্তায় ফেরত চেয়ে এবার তৃতীয়বার চিঠি লিখলেন উপাচার্য।
পুজো মেটার পরেই ফলক লাগানোর বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুজো ছিল বলে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু, যাঁর হাতে শান্তিনিকেতন তৈরি, যিনি সেখানকার রূপকার সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম কেন নেই ফলকে? নাম না করে উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর থেকেই ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সহ সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে গত তিনদিন ধরে শান্তিনিকেতনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস।