Bhangar News : ‘ভালো না লাগে দল ছেড়ে দিন’ হুঁশিয়ারি আরাবুলের, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত ভাঙড় – bhangar tmc leader arabul islam threats another leader creates inner party clash


পুজো মিটতে না মিটতেই ফের প্রকাশ্যে শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বতে উত্তপ্ত ভাঙড়। দলের এক নেতাকে নাম না করে হুঁশিয়ারি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। এমনকি, ‘ভালো না লাগলেও দল ছেড়ে দাও’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন আরাবুল।

কী ঘটনা ঘটেছে?

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় বিধানসভার বিজয়গঞ্জ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে দলীয় কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সভা থেকে দলীয় এক নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। পাশাপাশি দলীয় কিছু নেতা দলেরই ‘ক্ষতি করছে’ বলে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন আরাবুল।

কী জানান আরাবুল?

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম শানপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য শরিফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন। আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।’ নাম করে শানপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য শরিফুল আলমকে বলেন, ‘আমাদের কোনও মিটিং হলে তুমি সদস্যদের আসতে নিষেধ করছো। দল তোমাকে এই নির্দেশ দেয়নি যে তুমি মিটিংয়ে আসতে সদস্যদের নিষেধ করবে। তোমার ভালো না লাগে তুমি দল করবে না। তবে দল তোমাকে নির্দেশ দেয়নি যে তুমি মিটিংয়ে আসতে নিষেধ করবে সদস্যদের।’

কী বলছেন অভিযুক্ত নেতা?

তবে এ বিষয়ে সানপুকুরের তৃণমূল নেতা শরিফুল আলম বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তবে ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও প্রকাশ্যে দলের নেতাকে দল ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত করায় গুঞ্জন তৃণমূল শিবিরে। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবথেকে উত্তপ্ত ছিল ভাঙড় বিধানসভা এলাকা। আইএসেফের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি, তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথাও উঠে আসে বারবার। যদিও, প্রকাশ্য সভায় আরাবুলের হুঁশিয়ারিতে উত্তেজনা বাড়ে। পরে অন্যান্য নেতারা পরিস্থিতি সামাল দেন।

Dunlop Agarpara Auto Route: তৃণমূল পরিচালিত ইউনিয়নের কাজিয়া, বন্ধ আগরপাড়া-ডানলপ রুটের অটো
আইএসএফ কী বলছে?

তৃণমূলের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। আইএসএফ নেতা রাইনুর হক বলেন, ‘টাকা দিয়ে পদ কেনা হলে, দলীয় কর্মীদের সম্মান না দিলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বতো হবেই।’ তাঁর কথায়, ভাঙড় এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই নেতা। ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য লড়াইও চলছে তৃণমূলের অন্দরে বলে দাবি করেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের রাজনৈতিক বাদানুবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড় বিধানসভা এলাকা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *