কালাচাঁদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুল রঞ্জন দাস জানান, ‘স্কুল থেকে সাইকেল ছাত্র-ছাত্রীদের বিলি করা হচ্ছে তবে কিছু ক্ষেত্রে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে। কেউ আবার কাজ করতে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে সাইকেল গুলি তাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের স্কুলে প্রায় এখনও ১০০-এর উপরে সাইকেল করে রয়েছে এই বিষয়ে আমি এ বিষয়ে পুরাতন মালদা ব্লকের বিডিওকে জানিয়েছি এবং সবুজ সাথী দফতরকেও জানিয়েছি, সাইকেল গুলি এইভাবে পড়ে রয়েছে। সাইকেলগুলি ফেরত নেওয়ার বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের এই সাইকেল গুলি ফেরত নেওয়ার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেই।’
পুরাতন মালদা ব্লকের বিডিও শ্রীজ্যোতি পাল মাইতি জানান, ‘বেশ কিছু স্কুলে সবুজ সাথী প্রকল্প সাইকেল পড়ে রয়েছে এই বিষয়টি আমাদের জানা রয়েছে। তবে সে সমস্ত স্কুলকে বলা হয়েছে আপাতত সবুজ সাথী সাইকেল গুলি তাদের স্কুল ক্যাম্পাসে রাখার জন্য। পরবর্তীতে আবার যখন এই সবুজ সাথীর প্রকল্পের সাইকেল দেওয়া হবে, সেই সময় যে স্কুলগুলোতে পুরনো সাইকেল রয়েছে, সেটা দেখে হিসাব করে নতুন সাইকেল স্কুলে দেওয়া হবে।’
মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের BJP-র বিধায়ক গোপাল সাহা জানান, ‘আজকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্প গুলিকে এই রাজ্য সরকার নাম বদলিয়ে এ রাজ্যে চালাচ্ছে, প্রকল্পের সমস্ত টাকায় কেন্দ্র সরকার দিচ্ছে। সবুজ সাথী সাইকেলের গুণগত মান এতটাই খারাপ যার ফলে অনেক ছাত্র ছাত্রী এই সাইকেলগুলি ব্যবহার করতে পারছে না। অনেকদিন সরকারি সাইকেল স্কুলে পড়ে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। রেশন চাকরি ক্ষেত্রে যেমন দুর্নীতি হচ্ছে সাইকেলের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হচ্ছে এক্ষেত্রেও। ইডি, সিবিআই তদন্ত করে দেখা উচিত। সবুজ সাথী সাইকেলেও বড় কেলেঙ্কারি ধরা পড়বে।’
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ জানান, ‘আজকে আমাদের সরকার রাজ্যে যা উন্নয়ন করেছে সারা পৃথিবীতে তা প্রশংসনীয় হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে স্কুলে ভালোভাবে আসতে পারে সেই ক্ষেত্রেই সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সাইকেল গুলি কেন পড়ে নষ্ট হচ্ছে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখার জন্য বলা হবে। তবে এই নিয়ে BJP যে রাজনীতি করছে সেটা কাম্য নয় BJP-র কাজই হচ্ছে সরকারের উন্নয়নগুলিকে নিয়ে বিরোধিতা করা। BJP-র কাজই হচ্ছে সরকারের উন্নয়নগুলিকে বাধা দেওয়া।’